ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে নর্থইস্টকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার, ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্ত কামব্যাক করে লাল-হলুদ। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষমেশ জয়ের হাসি হাসল কার্লেস কুয়াদ্রাত ব্রিগেড।
বিশ্লেষকদের মতে, ম্যাচের একটা বড়ো অংশ জুড়ে ইস্টবেঙ্গল মোটেও ভালো ফুটবল খেলতে পারেনি। বরং নর্থইস্ট অনেক গোছানো ফুটবল খেলেছে। প্রথম ১৫ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে আনে নর্থইস্ট। প্রথমার্ধেই ১-০ এগিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ২-০ করে নর্থইস্ট। ফলে গোল খেয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ে লাল-হলুদের।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল খেয়ে যাওয়ার পর একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে লাল-হলুদ। দুই গোল খেয়ে যাওয়ার পর ক্লেইটনকে নামান কুয়াদ্রাত। দারুণ খেললেন ফাল্গুনী সিং। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ক্লেটন সিলভার ক্রস থেকে নওরেমের শট দীনেশের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢুকে যায়। খেলায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। এটাই হয় প্রথম টার্নিং পয়েন্ট।
ম্যাচের ইনজুরি টাইমে জাবাকোর লালকার্ড (ডবল ইয়েলো) হয়ে যায় দ্বিতীয় টার্নিং পয়েন্ট। নর্থইস্ট দশ জন হওয়ার পরের মুহূর্তেই নন্দর গোলে ২-২ করে ফেলে লাল-হলুদ। তখন ইনজুরি টাইমের মিনিট খানেক বাকি। নর্থইস্টের আর কিছু করার ছিল না। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে শেষ পর্যন্ত নর্থইস্ট একটাই মিস করে।
ইস্টবেঙ্গল প্রথম শট মারেন ক্লেইটন। মিরশাদের হাতে লাগলেও বল জালে জড়ায়। নর্থইস্টের প্রথম শট মারেন ইপসন। গিলকে বোকা বানিয়ে উল্টোদিকে ফেলে গোল করেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয় শট মারেন ক্রেসপো। মিরশাদকে সুযোগই দেননি তিনি। নর্থইস্টের দ্বিতীয় শট গনি নিগামও গোল করেন গিলকে দাঁড় করিয়ে। ইস্টবেঙ্গল তৃতীয় শট মারেন বোরহা। এক্ষেত্রেও মিরশাদের হাতে লেগে বল গোলে ঢোকে। পার্থিব গোগইয়ের শট সেভ করেন গিল। সেই শট ধার্য না হলেও, পরের শট ক্রসবারে মারেন নর্থইস্ট ফুটবলার। গোল করেন মহেশ। শেষে গোল করে দলকে জেতান সেই নন্দ। ভালো খেলেও ছিটকে যেতে হয় নর্থইস্টকে।
বলে রাখা ভালো, বৃহস্পতিবার আরেকটি সেমিফাইনালে মোহনবাগান এসজি-র লড়াই এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান, দু’দলই নিজেদের ম্যাচ জিততে পারলে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে আবার ডার্বি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১৯ বছর পর আবার ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি হতে পারে। তার আগে কঠিন বাধা টপকাতে হবে দুই দলকেই।
প্রসঙ্গত, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান, দুই দলই ১৬ বার করে ডুরান্ড জিতেছে। এ বার দুই প্রধানই ফাইনালে উঠলে ডুরান্ড কাপ জয়ের নিরিখে কেউ এক জন এগিয়ে যাবে। ২০০৪ সালে শেষ বার ডুরান্ড জেতে ইস্টবেঙ্গল। শেষ বার মোহনবাগান ডুরান্ড জিতেছে ১৯৯৯-২০০০ সালে।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ ২০২৩: প্রথম ২টি ম্যাচ থেকে বাদ পড়লেন কেএল রাহুল, নিশ্চিত করলেন রাহুল দ্রাবিড়