ইস্টবেঙ্গল এফসি ২ (এলসে, বৌবা আত্মঘাতী) গোকুলম কেরল এফসি ১ (বৌবা)
কলকাতা: লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য আনন্দের খবর। গোকুলম কেরলকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল এফসি। শুক্রবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে গোকুলমকে ২-১ গোলে হারায় লাল-হলুদ।
প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে এগিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে খেলায় সমতা ফেরায় গোকুলম কেরল এফসি। অমীমাংসিত অবস্থায় খেলা মিনিটকুড়ি গড়ানোর পর গোকুলমের আত্মঘাতী গোলে জয়সূচক গোল পায় ইস্টবেঙ্গল।
প্রথমার্ধে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল
প্রথমার্ধের খেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। আধ মিনিটের মধ্যেই তারা কর্নার পেয়ে যায়। কর্নার থেকে নেওয়া ক্রসটি গোকুলমের বক্সের ঠিক বাইরে পেয়ে যায় মহেশ হেড দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন গোকুলমের বিপজ্জনক এলাকায়। সেই বলেই দুর্দান্ত হেড দিয়ে গোল করেন অস্ট্রেলীয় ফুটবলার জর্ডন এলসে। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।
কিছুক্ষণের মধ্যে গোকুলমও আক্রমণ শানানো শুরু করে। ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় তারা একটি কর্নারও পায়। কিন্তু সেই কর্নারকে কাজে লাগাতে পারেনি গোকুলম। ম্যাচের ৩০ মিনিটে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গল কর্নার পায়। কর্নার থেকে নেওয়া শট গোকুলমের বক্সের ঠিক বাইরে থাকা সাউল ক্রেসপোর কাছে পৌঁছে যায়। সেই বল পেয়ে ক্রেসপো যে শট নেন তা প্রতিপক্ষের বারে লেগে বেরিয়ে যায়।
৩৮ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল তাদের লিড দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল। সৌভিকের কাছ থেকে দুর্দান্ত ক্রস পেয়ে সিভেরিও যে হেড করেন তা গোকুলমের বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের ৪১ মিনিটে গোল প্রায় শোধ করে ফেলেছিল গোকুলম। ডান দিক থেকে বল নিয়ে দুর্দান্ত ছুটে আসেন শ্রীকুট্টান। তিনি পাস বাড়ান ইস্টবেঙ্গলের বক্সে থাকা আলেক্সকে। কিন্তু আলেক্সের কাছে বল পৌঁছোনোর আগেই তা সেভ করেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার গিল।
আত্মঘাতী গোলে জয় ইস্টবেঙ্গলের
প্রথমার্ধে সমানে সমানে খেলা হয়েছিল। দুটি দলই প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে ৭টি করে শট নিয়েছিল। ম্যাচে সমতা ফেরানোর জয় তেড়েফুঁড়ে লাগে গোকুলম। এবং তাদের সেই চেষ্টা সফল হয় ম্যাচের ৫৭ মিনিটে। এই গোলটাও এল হেড থেকে। বাঁ দিক থেকে দুর্দান্ত ক্রস বাড়ান অভিজিৎ। সেই ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোকুলমের খেলা ১-১ করেন আমিনৌ বৌবা।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ব্রাজিলীয় তারকা ক্লাইটন সিলভা পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসাবে নামেন। ক্লাইটনকে জায়গা করে দিতে উঠে আসেন জাভিয়ের সিভেরিও। লাল-হলুদ সমর্থকরা আশায় উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন। তবে কি ক্লাইটন তাঁর দলকে ডুরান্ডের সেমিতে নিয়ে যেতে পারবেন?
কিন্তু ক্লাইটন নয়, গোকুলমের বৌবার আত্মঘাতী গোলে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের নিশু কুমারের নেওয়া শট হেড করে বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের গোলেই বল ঢুকিয়ে দেন আমিনৌ বৌবা। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
এর পর দু’পক্ষই গোল করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর ৬ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। কিন্তু ফল অপরিবর্তিত থাকে।