এমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি: ১ (হামিদ আহদাদ) নামধারী এফসি: ০
কলকাতা: ম্যাচের ৬১ মিনিট খেলা হয়ে গিয়েছে। তখনও কোনো দলই গোল করতে পারেনি। তখনই মোক্ষম চালটি দিলেন এমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি-র কোচ অস্কার ব্রুজো। ছন্দে না-থাকা দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসকে তুলে নিয়ে নামালেন হামিদ আহদাদকে। এটিই ছিল ইস্টবেঙ্গলের হয়ে হামিদের প্রথম ম্যাচ। মরক্কো ও মিশরের বেশ কিছু ক্লাবে খেলা হামিদই কাঙ্ক্ষিত কাজটি সারলেন। ৭ মিনিটের মধ্যেই করলেন ম্যাচের একমাত্র গোল। সেই গোলেই ইস্টবেঙ্গল উঠে গেল এ বারের ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে।
লিগে স্টেজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই গ্রুপ ‘এ’ থেকে শেষ আটে চলে গেল ইস্টবেঙ্গল। এই গ্রুপে নামধারী এফসি ৩ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। ইস্টবেঙ্গলের এখন ২টি ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট। গ্রুপ লিগে ইস্টবেঙ্গলের শেষ খেলা ভারতীয় বায়ুসেনার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে হেরে গেলেও শেষ আটে চলে যাবে লাল-হলুদ বাহিনী। কারণ, তখন নামধারীর সঙ্গে পয়েন্ট সমান হয়ে গেলেও মুখোমুখি সাক্ষাতে নামধারীকে হারানোটাই এগিয়ে রাখবে ইস্টবেঙ্গলকে।

ম্যাচের একটি মুহূর্ত।
বুধবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত ম্যাচে গত আইপিএল-এ ১২ দলের মধ্যে সপ্তম স্থানে থাকা নামধারীর এ দিন লক্ষ্যই ছিল, যে করে হোক মশালবাহিনীকে আটকানো। সেই কাজে তারা সফলও হয়েছিল প্রায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেল্লাফতে করল ইস্টবেঙ্গল পরিবর্ত খেলোয়াড় হামিদের মাধ্যমে।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে মিগুয়েল ফিগুয়েরার কর্নার কিকে মাথা ছুঁইয়ে নামধারীর জালে বল জড়িয়ে দিলেন হামিদ। এ ক্ষেত্রে নামধারীর গোলকিপার দায় এড়াতে পারেন না। বলের ফ্লাইট মিস করেছিলেন। বক্সে ছিলেন হামিদ। গোল করতে কোনো ভুলচুক করেননি। তাতেই ম্যাচের ফয়সালা হল।
বাংলা ভাষা নিয়ে উত্তাপ যুবভারতীতেও
বাংলা ভাষা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ যে ভালোই ছড়াচ্ছে তার প্রমাণ বুধবার পাওয়া গেল ডুরান্ড কাপের ম্যাচে। যুবভারতীর গ্যালারির একটা জায়গায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা বসেছিলেন ব্যানার নিয়ে। তাতে লেখা ছিল, ‘‘ভারত স্বাধীন করতে সেদিন পরেছিলাম ফাঁসি, মায়ের ভাষা বলছি বলে, আজকে বাংলাদেশি?’’
ছবি: সঞ্জয় হাজরা
আরও পড়ুন
ডুরান্ড কাপ ২০২৫: বেঙ্গালুরুর দলকে গোলের মালা পরিয়ে অভিযান শুরু ইস্টবেঙ্গলের
ডুরান্ড কাপ ২০২৫: কোলাসোর জোড়া গোল, বিএসএফ-কে হারিয়ে পর পর জয় পেল মোহনবাগান