মহমেডান এসসি: ২ (ডেভিড লাললানসাঙ্গা) ইস্টবেঙ্গল এসসি: ১ (নন্দকুমার)
কলকাতা: কলকাতা ফুটবল লিগে শিরোপা জয়ের ক্রমশ কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে মহমেডান স্পোর্টিং। বুধবার সাদা-কালো বাহিনী সুপার সিক্স-এ তাদের দ্বিতীয় ম্যচে ২-১ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমার্ধে তারা ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদ বাহিনী ১টি গোল শোধ করে।
এ দিন কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল খুবই খারাপ খেলে। দ্বিতীয়ার্ধে তারা কিছুটা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। পেনাল্টি থেকে ১টি গোলও শোধ করে। কিন্তু তাদের খেলায় বোঝাপড়ার খুব অভাব ছিল।
ডেভিড লাললানসাঙ্গার দুর্দান্ত খেলা
ম্যাচের ৫ মিনিটের মধ্যেই গোল করে এগিয়ে যায় মহমেডান। লালরেমসাঙ্গা বল বাড়ান ডেভিড লাললানসাঙ্গাকে। ডেভিড বল ধরেই আলতো টোকায় তা ভাসিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য করে। বল ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে যায়। ৫ মিনিট পরে আবার গোল করার সুযোগ পায় মহমেডান। কিন্তু ফ্রি-কিক তারা কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের ১৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক উন্নিকৃষ্ণনের শট দারুণ ভাবে বাঁচিয়ে দেন মহমেডানের গোলকিপার পদম।
মহমেডানের আক্রমণ চলতে থাকে। ২২ মিনিটে আবার গোল করার সুযোগ পেয়ে যান ডেভিড। কিন্তু তাঁর দুর্দান্ত শট বাঁচান ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কমলজিৎ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৩৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় মহমেডান। গোল করেন সেই ডেভিড। লালরেমসাঙ্গার কাছ থেকে বল পেয়ে ইস্টবেঙ্গলের দুই খেলোয়াড়কে ডজ করে কাটিয়ে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। প্রথমার্ধে মহমেডান ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদ বাহিনী একটু চেগে ওঠার চেষ্টা করে। এবং তার ফলস্বরূপ ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় তারা। বক্সের মধ্যে শৌভিকের শট ইরশাদের হাতে লাগে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন নন্দকুমার। শৌভিক নামার পর থেকে ইস্টবেঙ্গল কিছুটা ছন্দে ফেরে। ম্যাচে সমতা ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। শেষ পর্যন্ত মহমেডান ম্যাচ জিতে নেয় ২-১ গোলে।
এ দিন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন ডেভিড লাললানসাঙ্গা। এই ম্যাচে জোড়া গোল করার সুবাদে কলকাতা লিগে তাঁর ১৭টি গোল হয়ে গেল। লিগের প্রায় প্রতিটি ম্যাচে মহামেডানের এই সেন্টার ফরোয়ার্ড গোল করে গিয়েছেন।
আপাতত অনেকটাই নিশ্চিন্ত মহমেডান
সুপার সিক্স-এ উঠেছে ছ’টি দল – মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব, মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট, ইস্টবেঙ্গল স্পোর্টিং ক্লাব, ভবানীপুর ফুটবল ক্লাব এবং খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাব। এ দিনের ম্যাচের পর লিগের খেতাবি দৌড়ে প্রবল ভাবে এগিয়ে গেল আন্দ্রে চের্নিশভের দল মহমেডান স্পোর্টিং। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে এসেছিল মহামেডান।
গ্রুপ পর্বের পয়েন্টও সুপার সিক্সে যোগ হচ্ছে। সুপার সিক্সের পর পর দুটো ম্যাচে খিদিরপুর ও ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে আপাতত মহমেডানের সংগ্রহ ৩৫ পয়েন্ট। ও দিকে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে লিগের সুপার সিক্সে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। এ দিনের ম্যাচের পর তারা সেই পয়েন্টেই থাকল, যদিও তারা মহমেডানের চেয়ে একটা ম্যাচ কম খেলেছে।