মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট: ৩ (লিস্টন কোলাসো ২, সুহেল ভাট)
মহমেডান এসসি: ১ (অ্যাশলে অ্যালবান কোলি)
কলকাতা: জয়ে ফিরল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কলকাতা লিগের ডার্বি ম্যাচে হেরে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন বাহিনী। বৃহস্পতিবার ডুরান্ড কাপের বড়ো ম্যাচে জয় পেল তারা। সল্ট লেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত গ্রুপ বি-এর ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিংকে তারা হারাল ৩-১ গোলে।
সাদা-কালো ব্রিগেডের বিরুদ্ধে এ দিন মোহনবাগানের জয়ের নায়ক ছিলেন লিস্টন কোলাসো। তিনি নিজে দুটি গোল করলেন। আর সুহেল ভাটকে দিয়ে একটি গোল করান। আর মোহনবাগান এই জয় পেল কার্যত ১০ জন খেলে। প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করে অযথা মাথা গরম করে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন লালেংমাউইয়া রালতে ওরফে আপুইয়া। লাল কার্ড দেখে আপুইয়াকে বেরিয়ে যেতে হল। ফলে ম্যাচের বাকি সময়টা ১০ জনে খেলতে হল মোহনবাগানকে। তাতে অবশ্য জয় পেতে সমস্যা হয়নি আইএসএল চ্যাম্পিয়নের।

ম্যাচের একটি মুহূর্ত।
প্রথমার্ধে মোহনবাগান ১-০ গোলে এগিয়ে
ম্যাচের গোড়া থেকেই আধিপত্য ছিল মোহনবাগানের। তাদের ধারাবাহিক আক্রমণে খেই পাচ্ছিল না মহমেডান। তারই ফলস্বরূপ প্রথমার্ধের ২২ মিনিটে গোল পেয়ে গেল মোহনবাগান। ফ্রি কিক থেকে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন লিস্টন।
গোল খেয়ে অবশ্য সাদা-কালো বাহিনী মোহনবাগানের রক্ষণভাগে হানা দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন মহমেডান মূলত ভরসা করছিল প্রতি-আক্রমণে। গোলের একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরাও। তা না হলে প্রথমার্ধেই মোহনবাগান তাদের এগিয়ে যাওয়াকে আরও শক্তিশালী করতে পারত।

গোল করে উল্লাস সুহেলের।
দ্বিতীয়ার্ধে ফল দাঁড়াল ৩-১
দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের মোহনবাগানকে পেয়ে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে ওঠেন মহমেডান ফুটবলারেরা। এবং তার ফলও পান। ম্যাচের ৫০ মিনিটে অ্যাশলে অ্যালবান কোলি মহমেডানের হয়ে সমতা ফেরান। তবে গোল খেয়ে ১০ জনের মোহনবাগান ভেঙে পড়েনি, বরং তারা আরও তেতে ওঠে। ম্যাচের ৬২ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। মাঝমাঠ থেকে দৌড় শুরু করে প্রতিপক্ষের তিন জন ফুটবলারকে কাটিয়ে বক্সের মধ্যে সুহেলকে বল বাড়িয়ে দেন লিস্টন। সামনে মহমেডানের গোলরক্ষককে একা পেয়েও প্রথম প্রচেষ্টায় গোল করতে পারেননি সুহেল। কিন্তু কপাল ভালো সুহেলের। গোলরক্ষকের গায়ে লেগে বল তাঁর কাছেই চলে আসে এবং এ বার তিনি আর কোনো ভুল করেননি।
৪ মিনিট পরে গোল করার আবার সুযোগ পান সুহেল। গোলের সামনে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন কিয়ান নাসিরি। কিন্তু ব্যর্থ হন সুহেল। গোলের সুযোগ নষ্ট করেন মহমেডান ফুটবলারেরাও। সবুজ-মেরুনের গোলরক্ষক বিশাল কাইথও তাঁর একক দক্ষতায় দলকে বাঁচান। মোহনবাগানের তৃতীয় তথা চূড়ান্ত জয়সূচক গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। অতিরিক্ত সময়ের ৫ মিনিটে বক্সের মধ্যে দীনেশ মেইতেই ফাউল করেন লিস্টনকে। মোহনবাগান পেনাল্টি পায়। পেনাল্টি থেকে গোল করেন লিস্টন।
ছবি: সঞ্জয় হাজরা
আরও পড়ুন
ডুরান্ড কাপ ২০২৫: বেঙ্গালুরুর দলকে গোলের মালা পরিয়ে অভিযান শুরু ইস্টবেঙ্গলের