কাতার: ২ (ইউসেফ আমেন, আহমেদ আল-রাউয়ি) ভারত: ১ (লালিয়ানজুয়ালা চাংতে)
দোহা: বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে দুর্বল রেফারিং। আর তার শিকার হল ভারত। বিতর্কিত গোলে সমতা ফিরিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জিতল কাতার। এই জয়ের ফলে কাতার এবং কুয়েত চলে গেল ২০২৬-এর বিশ্বকাপ ফুটবলের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে।
আজকের ম্যাচ জিততে পারলে ভারত ২০২৭-এর এএফসি এশিয়ান কাপে খেলারও যোগ্যতা অর্জন করত। কিন্তু এই পরাজয় সেই পথে বাধা সৃষ্টি করল।
মঙ্গলবার দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে প্রথম থেকেই কাতারকে চাপে রেখেছিল ভারত। বারদুয়েক গোল করার সুযোগও পেয়েছিল। কিন্তু একবার লালিয়ানজুয়ালা চাংতে এবং আর একবার রহিম আলি সেই সুযোগদুটো কাজে লাগাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ভারত। কাতারের পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ পাস বাড়ান চাংতে। মাথা ঠান্ডা রেখে সেই বল কাতারের জালে ঢুকিয়ে দিতে কোনো ভুলচুক করেননি মিজোরামের এই ফরোয়ার্ড।
সেই বিতর্কিত গোল
৭৫ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল ভারত। তার পর কাতারের সেই বিতর্কিত গোল। কাতারের ইউসেফ আমেনের ক্রস ভারতের অধিনায়ক তথা গোলকিপার গুরপ্রীত সাঁধু বাঁচানোর চেষ্টা করলে বল তাঁর পায়ের ফাঁক দিয়ে গোললাইন পেরিয়ে যায়। ভারতের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা যখন কর্নার আটকানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন কাতারের এক ফরোয়ার্ড বলটি পায়ে করে টেনে এনে আমেনের দিকে পাস বাড়িয়ে দেন। আমেন ভারতের গোলে বল ঢুকিয়ে দেন। ভারতের খেলোয়াড়রা সেই মুহূর্তে পুরোপুরিই খেলা থামিয়ে দিয়েছিলেন। রেফারি গোলের বাঁশি বাজিয়ে দেন। ভারতের খেলোয়াড়রা তীব্র প্রতিবাদ করলে রেফারি লাইন্সম্যানদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে কাতারের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন আহমেদ আল-রাউয়ি। এর পর আরও ১২ মিনিট (অতিরিক্ত ৭ মিনিট-সহ) খেলা হয়। কিন্তু আর কোনো গোল হয়নি।
আজ বিশ্বকাপ ফুটবলের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রেফারি যে একটি না-গোলকে গোল দিয়ে কাতারকে জিতিয়ে দিলেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দেখা যাক, ভারত কী ভাবে এর প্রতিবাদ জানায়। তবে আপাতত আইগর স্টিম্যাক ও তাঁর দলের বিশ্বকাপ অভিযান এখানেই শেষ হল।