নয়াদিল্লি: নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিনই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কুস্তিগিরদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিল্লির যন্তরমন্তর চত্বর। আটক বিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া-সহ কয়েক জন কুস্তিগির।
ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে গ্রেফতারের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে ধর্না দিচ্ছেন কুস্তিগিররা। রবিবার নতুন সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা। তার আগে যন্তরমন্তরে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। তার জেরে আটক হন বিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিক এবং বজরং পুনিয়া-সহ কয়েক জন কুস্তিগির।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, “আন্দোলনের অনুমতি পাননি এই কুস্তিগিররা। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তাঁরা মহিলা মহাপঞ্চায়েত তৈরি করার প্রচেষ্টা করছে। আমরা তাঁদের সম্মান করি। কিন্তু, নয়া সংসদ ভবন অনুষ্ঠানে যদি কোনো হস্তক্ষেপ হয় সেক্ষেত্রে কোনো ভাবেই তা বরদাস্ত করা হবে না”।
রবিবার রাতের দিকে আটক কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বড়খাম্বা থানায়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ছ’টি ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়েছে। বিনেশ, সাক্ষী, বজরংদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৯, ১৮৬, ১৮৮, ৩৩২, ৩৫৩ ধারায় এফআইআর রুজু করা হয়েছে।
এই ঘটনায় কেন্দ্রের সমালোচনা সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তিনি একটি টুইটে লেখেন, “দিল্লি পুলিশ যেভাবে সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট এবং অন্যান্য কুস্তিগিরদের সঙ্গে আচরণ করেছে তা অত্যন্ত নিন্দাজনক। আমাদের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। পুলিশ যাতে অবিলম্বে তাঁদের মুক্ত করে সেই দাবি জানাচ্ছি। আমরা আমাদের কুস্তিগিরদের সঙ্গে রয়েছি।”
দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভরত ভারতীয় কুস্তিগিররা। কিন্তু তারপরও হরিয়ানার এই বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। এ বার ‘সুবিচার’ পেতে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে চলেছেন তাঁরা। সোমবার দিল্লিতে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।