নিত্য দিনের দরকারি যে কোনো কাজ এখন ইন্টারনেটের মাধ্য়মেই হয়। যেখানে দিনের পর দিন ইন্টারনেট পরিষেবা উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে, সেখানে যদি ইন্টারনেট স্পিড কম থাকে তা হলে সেটি থেকে বিরক্তিকর আর কিছু হতে পারে না। তবে সেই পরিস্থিতির কিছুটা হলেও বদল হচ্ছে কেন্দ্রের নতুন নিয়মে।
ভারতে সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন নিয়মে টেলিকম প্রদানকারী সংস্থাকে ৫১২ কেবিপিএস-এর পরিবর্তে ন্যূনতম ২ এমবিপিএস গতি প্রদান করতে হবে। যা চলতি ন্যূনতম গতির চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি।
জানা গিয়েছে, প্রতিটি টেলিকম অপারেটরের জন্য নিজের গ্রাহকদের ব্রডব্যান্ড সংযোগে ন্যূনতম ২ এমবিপিএস গতি প্রদান করা বাধ্যতামূলক হবে। ভারত সরকারের ২ এমবিপিএস গতির নিয়ম দ্রুত কার্যকর করা হয়েছে।
দ্রুত বর্ধনশীল ডিজিটাল অর্থনীতিতে পরিণত হতে চায় ভারত। এই জন্য অবশ্যই দৈনন্দিন কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট ইন্টারনেট গতি সীমা থাকা উচিত। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি (TRAI) ন্যূনতম ব্রডব্যান্ড গতি ৫১২ কেবিপিএস-এর পরিবর্তে ন্যূনতম ২ এমবিপিএস করার পরামর্শ দিয়েছে। ট্রাই-এর তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের নভেম্বরের শেষ নাগাদ, মোট ব্রডব্যান্ড গ্রাহক ছিল ৮২৫.৪ মিলিয়ন, যার মধ্যে ওয়্যারলেস ব্যবহারকারী ৭৯৩.৫ মিলিয়ন। বাকিরা ওয়্যারলাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ইন্টারনেটের ন্যূনতম স্পিড আপডেট করার এই প্রচেষ্টা চলছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে দেশে ইন্টারনেটের গতি ২ এমবিপিএস-এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। জাতীয় টেলিকম নীতির আওতায় ২০১২-১৫ সালের মধ্যে ব্রডব্যান্ডের ন্যূনতম গতি ২ এমপিবিএস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ফের ডিএ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের