প্রজননের সময় যাতে বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত না করা হয়, সেই কারণে সোমবার থেকে তিনমাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে উত্তরবঙ্গের জঙ্গল পর্যটন। ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এলিফ্যান্ট সাফারি ও জিপ সাফারি। তবে জঙ্গলের বাইরের ইকো কটেজে থাকতে পারবেন পর্যটকরা।
এই তিনমাসে বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষা দিতে জোরদার ব্যবস্থা নিচ্ছে বনদপ্তর। চোরাশিকার এবং কাঠ পাচারের মোকাবিলায় জঙ্গল নজরদারিতে লাগানো হচ্ছে ড্রোন ও বোট। পাশাপাশি মনসুন ক্যাম্প থেকে টহল দেবে বনকর্মীরা।
জলদাপাড়া, গোরুমারা, মহানন্দা এবং বক্সা জঙ্গলে চালু হচ্ছে ড্রোন নজরদারি। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) ভাস্কর জেভি জানিয়েছেন, নদী ও ঝোরার দাপটে যাতে বন্যপ্রাণীরা ভেসে না যায়, সেজন্য তৈরি রাখা হচ্ছে বোট। জলদাপাড়ায় রাখা হয়েছে তিনটি বোট এবং গঠন করা হয়েছে বিশেষ উদ্ধারকারী টিম। মনসুন ক্যাম্প থেকেও পরিচালিত হবে টহল।
জানা গেছে, জলদাপাড়ায় ৩৩১টি একশৃঙ্গ গন্ডার, গোরুমারায় ৬১টি গন্ডার এবং বহু হাতির বসবাস। বর্ষাকালে পাহাড়ি ঝোরার স্রোতে বাচ্চা প্রাণীদের ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অতীতে একাধিকবার হরিণ, গন্ডার ও হাতির শাবক ভেসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাই এবার বর্ষার আগেই বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছে বনদপ্তর।
অন্যদিকে, দুর্গাপুজোর আগেই ধূপঝোরায় এলিফ্যান্ট ট্যুরিজম হাব তৈরির কাজ শেষ করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। গোরুমারার ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন জানান, ছ’টি কটেজ ইতিমধ্যেই সংস্কার করে সৌর আলোক ব্যবস্থায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য সেলফি জোন, হাতির স্নান দেখার সুযোগের মতো আকর্ষণও থাকছে সেখানে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষার তিনমাস এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায়। জঙ্গল বন্ধ থাকলেও পর্যটনের স্বার্থে বনদপ্তরের ইকো কটেজগুলি খোলা থাকবে, জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।