নিজস্ব প্রতিনিধি: আজকের গড় জঙ্গল ছিল অতীতে সেনপাহাড়ির একটি অংশ। ধর্মমঙ্গল কাব্যে আছে ইছাই ঘোষ এখানে দুর্গ নির্মাণ করেন। চিত্রসেনরাই মারাঠা দস্যুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই দুর্গে আশ্রয় নেন। ইছাই ঘোষ সেনপাহাড়ি দুর্গে শ্যামারূপা মূর্তি স্থাপন করে পুজো শুরু করেন।
ইতিহাস আর প্রকৃতি মিশে রয়েছে গড় জঙ্গলে!
শাল, শিরিষ ও অর্জুনের জঙ্গলে গড় চণ্ডীধাম। মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুসারে রাজা সুরথ এই জঙ্গলে মেধস মুনির আশ্রমে বাংলার প্রথম দুর্গাপুজো করেন। সেনবংশের রাজা লক্ষণ সেন এই দেবীর পুজো দিতে আসতেন। এই দেবীর সামনে আগে নরবলি হত। দেবী কালী রূপেও পূজিত হন, আবার দুর্গা রূপেও।

রাজা লক্ষণ সেনের পঞ্চরত্নের এক রত্ন ছিলেন গীতগোবিন্দ রচয়িতা কবি জয়দেব। তাঁর প্রচেষ্টাতে এই বলি বন্ধ হয়ে যায়। শোনা যায় রাজা লক্ষণ সেন বেশ কিছু দিন এখানে লুকিয়ে ছিলেন। শ্যামরূপা নামে দেবীকে ডাকা হয়। মন্দিরের গর্ভগৃহে তিনি অধিষ্ঠিত। দর্শন করা যায়।
অজয় নদীর পাড়ে রয়েছে ইছাই ঘোষের দেউল। ধর্মমঙ্গল কাব্যের ইছাই ঘোষের সঙ্গে গৌড়ের লাউ সেনের গড়জঙ্গলে যুদ্ধ হয়েছিল। আগে এর নাম ছিল ঢেকুরগড়। এখানকার নিম্নবর্গের মানুষদের নিয়ে রাজা ইছাই ঘোষ এক সৈন্যদল করেছিলেন।
দূর্গাপুর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে এই জঙ্গল। জঙ্গলের ভেতর গড় এখন ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। লাল মোরামের রাস্তা ধরে উপভোগ করতে পারেন জঙ্গলের সৌন্দর্যময় দৃশ্য।
গড় জঙ্গলের পথনির্দেশ
কলকাতা থেকে ট্রেনে দুর্গাপুর। সেখান থেকে গাড়ি বুকিং করে চলে যেতে পারবেন গড় জঙ্গল।