Homeশরীরস্বাস্থ্যখুব কষে কোমরে পোশাকের দড়ি বাঁধছেন? মারণ রোগকে ডেকে আনছেন না তো?

খুব কষে কোমরে পোশাকের দড়ি বাঁধছেন? মারণ রোগকে ডেকে আনছেন না তো?

প্রকাশিত

অনেকেরই অভ্যাস থাকে সায়া, সালওয়ার বা পাজামার দড়ি খুব টাইট করে বা কষে কোমরে বাঁধার। অজ্ঞাতসারেই আপনার এই সাধারণ অভ্যাস আপনাকে মারণ রোগের মুখে ঠেলে দিচ্ছে না তো?

‘বিএমজে কেস রিপোর্টস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে একটানা খুব টাইট করে কোমরে পোশাকের দড়ি বাঁধা থাকলে তার থেকে ‘পেটিকোট ক্যানসার’ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এর মধ্যেই ভারতে এক গ্রামের দুই মহিলা এই পেটিকোট ক্যানসারে বা কষে কোমরে পোশাকের দড়ি বাঁধার কারণে হওয়া ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। দু’জনেই শাড়ি পরতেন। সায়ার দড়ি খুব টাইট করে কোমরে বাঁধার অভ্যাস ছিল বলে জানান চিকিৎসকরা।

গবেষণা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, খুব টাইট করে কোমরে পোশাকের দড়ি বাঁধলে তার থেকে যে চাপ ও ঘষাঘষি হয় তার জন্য ত্বক ফুলে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে একটানা এটা হয়ে থাকলে তার থেকে আলসার বা ঘা হয়ে যায়। এর ফলে ত্বকের ক্যানসার হতে পারে। আগে এই ধরনের ক্যানসারকে বলা হত ‘শাড়ি ক্যানসার’। কিন্তু পরে দেখা যায় শাড়ি নয় পেটিকোট বা সায়া, সালওয়ার বা পাজামার দড়ি বাঁধা থাকলে তার থেকেই ত্বক ফুলে গিয়ে আলসার ও পরে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ছে।

প্রথমে ভারতে ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধা আক্রান্ত হন পেটিকোট ক্যানসারে। ১৮ মাস ধরে তাঁর ডান কোমরে হওয়া আলসারের কারণে তিনি খুব যন্ত্রণা পাচ্ছিলেন। কিছুতেই অসুখ সারছিল না। ব্যথা ও ঘায়ের জায়গার ত্বকের রঙ বদলে যায়। ওই রোগিণীর অভ্যাস খুব টাইট করে সায়ার দড়ি বাঁধার। বায়োপসি রিপোর্টে দেখা যায়, ওই বৃদ্ধা মারজোলিন আলসার (Marjolin Ulcer) বা স্কোয়ামাউস সেল কার্সিনোমা (Squamous cell carcinoma) বা এক ধরনের ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই বৃদ্ধার মতোই ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে এক প্রৌঢ়াও একই ভাবে মারজোলিন আলসার-এ আক্রান্ত হন। তাঁরও পোশাকের দড়ি বাঁধার কারণে হওয়া ডান কোমরের ঘা দু’ বছর ধরেও সারছিল না। যখন তিনি চিকিৎসকের কাছে যান তার আগেই ক্যানসার অনত্র ছড়িয়ে পড়েছে।

চিকিৎসকরা জানান, মারজোলিন আলসার খুব বিরল তবে তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খুব টাইট করে কোমরে পোশাকের দড়ি বাঁধলে বারবার ঘষাঘষি থেকে কিউটানিয়াস অ্যাট্রফি (cutaneous atrophy) বা স্কিন অ্যাট্রফি (skin atrophy)  হয়। তার থেকে আলসার ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে একটানা টাইট করে কোমরে পোশাকের দড়ি বাঁধা থাকার কারণে আলসার বা ঘা দ্রুত সারতে চায় না। আলসার থেকে দ্রুত ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ কোমরে পোশাকের দড়ি আলগা করে বাঁধুন। ত্বকের সমস্যা হলে তা দ্রুত নিরাময়ের ব্যবস্থা করুন।

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

ক্যানবেরায় বৃষ্টিতে ভেসে গেল অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি

ক্যানবেরা: বুধবার এখানকার মানুকা ওভালে আয়োজিত অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিতল বৃষ্টি। টস জিতে...

বিশ্বকাপ মহিলা ক্রিকেট: উলভার্টের সেঞ্চুরি ও ক্যাপের ৫ শিকার, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

গুয়াহাটি: ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপের ফাইনালে...

ঋণগ্রস্ত বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির জন্য ১ লক্ষ কোটির ‘বেলআউট’ প্যাকেজ আনছে কেন্দ্র; শর্ত বেসরকারিকরণ

ঋণে জর্জরিত রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির জন্য ১ ট্রিলিয়ন রুপিরও বেশি উদ্ধারপ্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র। শর্ত—রাজ্যগুলিকে তাদের বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বেসরকারি হাতে তুলে দিতে হবে বা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে।

কলকাতায় আত্মপ্রকাশ গোদরেজ হাউসিং ফিন্যান্সের, পূর্ব ভারতে ঋণ পরিষেবায় নতুন দিগন্ত

পূর্ব ভারতে আর্থিক পরিষেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কলকাতায় প্রথম শাখা চালু করল গোদরেজ হাউসিং ফিন্যান্স। ৭.৭৫% সুদে হোম লোন, নারীদের জন্য বিশেষ ‘আরোহী হোম লোন’ অফারসহ গ্রাহককেন্দ্রিক পরিষেবা দেবে সংস্থা।

আরও পড়ুন

মুড়ি, চিঁড়ে, খই— দেশি খাবারেই লুকিয়ে স্বাস্থ্যরহস্য

বাঙালির প্রিয় মুড়ি, চিঁড়ে ও খই শুধু দেশি খাবার নয়, এগুলিতে আছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ— জানুন এই তিন ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাবেন কেন? জানুন আশ্চর্য উপকারিতা

জিরে ভেজানো জল শুধু হজম নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটিও দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে জল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।

শহুরে ভারতীয়রা মিষ্টিপ্রেমী হয়ে উঠেছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের ৫১% শহুরে পরিবার মাসে অন্তত ৩-৪ বার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খান। তবে ৫৫% নাগরিক এখন পছন্দ করছেন কম চিনি দেওয়া মিষ্টি। ডায়াবেটিস ও কৃত্রিম শর্করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক বিশেষজ্ঞরা।