রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল করল নবান্ন। পরিবেশ দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ কুমারকে কারা প্রশাসন দফতরে বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য-সচিব পদেও ছিলেন। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, রাজেশকে পরিবেশ দফতর থেকে সরানোর পরিকল্পনা আগেই নেওয়া হয়েছিল। যদিও কারা দফতর তুলনামূলকভাবে বেশি ‘ওজনদার’ পদ হিসেবে বিবেচিত, তবুও এই বদলি নিয়ে শাসক শিবিরের সমীকরণ বদলের জল্পনা শুরু হয়েছে।
প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, রাজেশের বদলি সাম্প্রতিক সময়ে মুরলিধর শর্মা এবং রাজারাম রাজশেখরনের মতো শীর্ষ আধিকারিকদের পদ পরিবর্তনের সঙ্গেও যুক্ত। অন্যদিকে, প্রশাসনের আরেক অংশ এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে যে, এই রদবদল শুধুমাত্র প্রশাসনিক কাজকর্ম আরও কার্যকর করার জন্য।
পরিবেশ দফতরের নতুন দায়িত্ব
পরিবেশ দফতরের দায়িত্বভার এখন সামলাবেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রোশনি সেন। ১৯৯৩ ব্যাচের এই আইএএস আধিকারিক ইতিমধ্যেই মৎস্য এবং জলজপ্রাণী বিষয়ক দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য-সচিব পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে কাজ করবেন জগদীশপ্রসাদ মিনা।
স্বাস্থ্য দফতরে পরিবর্তন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিশেষ নজর’ পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। বিবেক কুমারকে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের যুগ্মসচিব করা হয়েছে। ইয়েলুচুরি রত্নকারা রাওকে স্বাস্থ্য দফতর থেকে সরিয়ে অপ্রচলিত এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি দফতরের সচিব পদে পাঠানো হয়েছে।
পর্যটন দফতরে রদবদল
পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অভিষেক তিওয়ারি। তিনি স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সচিব পদে ছিলেন। শশাঙ্ক শেঠিকে পর্যটন নিগম থেকে সরিয়ে হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর করা হয়েছে।
প্রশাসনিক রদবদলের এই তালিকায় স্বাক্ষর করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই রদবদল প্রশাসনিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
হাওড়া স্টেশনের অদূরে উড়ালপুল নির্মাণ, ৪২ দিন ট্রেন পরিষেবা নিয়ন্ত্রিত