রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধাভোগী মহিলাদের জন্য এবার বড় সুখবর। নবান্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হলে যাঁরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্ধক্য ভাতা পেতে শুরু করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মাসিক আয়ের এক হাজার টাকার ঊর্ধ্বসীমা আর প্রযোজ্য থাকবে না। এর ফলে কয়েক লক্ষ মহিলা সরাসরি উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের অধীনে পরিচালিত ‘ওল্ড এজ পেনশন’ প্রকল্পের আওতায় এই সুবিধা প্রদান করা হয়। বর্তমানে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে উপভোক্তার মাসিক আয় এক হাজার টাকার নিচে থাকতে হয়। তবে, এই সীমা তুলে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই খসড়া প্রস্তুত হয়েছে এবং মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষা চলছে। অনুমোদন পাওয়ার পরেই আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা জারি করবে নবান্ন।
২০২০ সালে রাজ্যের বিভিন্ন বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পকে একত্রিত করে ‘জয় বাংলা’ নামে একটি অভিন্ন ছাতার তলায় আনা হয়। তবে, এখনও পর্যন্ত ‘ওল্ড এজ পেনশন’-এর ক্ষেত্রে আয়ের ঊর্ধ্বসীমার নিয়ম বলবৎ রয়েছে। অন্যদিকে, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য পরিচালিত ‘তফসিলি বন্ধু’ এবং ‘জয় জোহার’ প্রকল্পে আয়ের কোনও সীমাবদ্ধতা নেই।
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধাভোগী তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘তফসিলি বন্ধু’ বা ‘জয় জোহার’ প্রকল্পের আওতায় আসেন। এবার একই নিয়ম ‘ওল্ড এজ পেনশন’ প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য।
আয়ের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিলে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে বার্ধক্য ভাতায় স্থানান্তরিত হওয়া মহিলারা আর্থিক ভাবে আরও সুবিধা পাবেন।