Homeশিল্প-বাণিজ্যঅক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনার সময় সতর্ক থাকুন, কী ভাবে আসল সোনা চিনবেন

অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনার সময় সতর্ক থাকুন, কী ভাবে আসল সোনা চিনবেন

প্রকাশিত

এ বছর ২২ এপ্রিল পালিত হবে অক্ষয় তৃতীয়া। হিন্দু ধর্মে এই উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে ভগবান পরশুরামের জন্ম হয়েছিল এবং মা গঙ্গা পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন। যে কারণে দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।

অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে সোনা কেনা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে সোনা কিনলে ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্য আসে। পাশাপাশি, এই দিনে রুপো এবং হিরের কেনাকাটাও করেন অনেকেই। তবে সোনার কয়েন হোক বা গয়না, কেনার সময় আপনাকে অবশ্যই কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

হলমার্ক আইডেন্টিফিকেশন কোড

হলমার্ক আইডেন্টিফিকেশন কোড না থাকলে আর সোনার গয়না বিক্রি করা যাবে না। গত ১ এপ্রিল থেকে চালু হয়েছে এই নতুন নিয়ম। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওই তারিখ থেকে সমস্ত সোনার গহনায় এমবস করা একটি ছয় সংখ্যার আলফানিউমেরিক আইডি থাকতে হবে।

অর্থাৎ, আপনি যদি সোনার গয়না কিনতে আপনার স্থানীয় জুয়েলারি দোকানে যান, তা হলে আপনাকে ভালো করে দেখে নিতে হবে বিআইএস (BIS) হলমার্ক ছাড়াও, সোনার গহনায় এমবস করা ওই ছয় সংখ্যার আলফানিউমেরিক আইডি রয়েছে কি না। প্রতিটা সোনার গহনার জন্য একটি অনন্য এইচইউআইডি (HUID) কোড দেওয়া হয়।

এইচইউআইডি মানে হলমার্ক ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন। এটি একটি ছয় সংখ্যার আলফানিউমেরিক কোড যা বর্ণমালা এবং সংখ্যা নিয়ে গঠিত। বিআইএস-প্রত্যয়িত অ্যাসেইং এবং হলমার্কিং সেন্টারে এইচইউআইডি স্ট্যাম্প করা হয়।

এইচইউআইডি-র সুবিধা কী?

এইচইউআইডি স্বচ্ছতা প্রদান করে, ক্রেতার অধিকার নিশ্চিত করে এবং ইন্সপেক্টর রাজের সম্ভাবনাকে এড়িয়ে যায়। ডিপার্টমেন্ট অব কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, কেউ হলমার্ক করা সোনার গয়না বিক্রি করার সময় প্রকৃত মূল্য পেতে পারে।

ক্রেতাদের সোনার গহনার টুকরোটির বিশুদ্ধতা সম্পর্কে জুয়েলার্সের দাবিগুলি যাচাই করার অনুমতি দেয় এই এইচইউআইডি। সোনার গহনার উপর স্ট্যাম্প করা এইচইউআইডি কোড বিআইএস কেয়ার অ্যাপে যাচাই করা যেতে পারে। যদি কোনো সোনার দোকানি জাল এইচইউআইডি কোড স্ট্যাম্প করে থাকেন, তা হলে একজন ক্রেতার কাছে এটি যাচাই করার এবং জুয়েলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পথ খোলা রয়েছে।

সোনার গয়নার হলমার্কিং চিহ্নগুলি কী কী?

২০২১ সালের ১৬ জুন থেকে সোনার গয়না এবং প্রত্নবস্তু বিক্রয়ের জন্য বিআইএস হলমার্ক বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ছাড়াও ওই বছরের ১ জুলাই থেকে সোনার গয়নায় হলমার্কের চিহ্নগুলিকে সংশোধন করাও হয়েছে।

বিআইএস হলমার্কযুক্ত সোনার গহনার সংশোধিত চিহ্নগুলি হল: বিআইএস লোগো, বিশুদ্ধতা/সূক্ষ্মতা গ্রেড এবং ৬ সংখ্যার এইচইউআইডি কোড।

ক্যারেট

সোনার ওজন বা বিশুদ্ধতা ক্যারেটে পরিমাপ করা হয়। ক্যারেট যত বেশি, সোনার বিশুদ্ধতাও তত বেশি থাকবে। সোনার মুদ্রা থেকে গয়নাগাঁটি- সব ক্ষেত্রেই মেনে চলা হয় এই নিয়ম। এর ভিত্তিতেই মূলত নির্ধারিত হয় এর দাম। যখনই সোনার গয়না কিনবেন, অবশ্যই সেটার গায়ে খোদাই করা ক্যারেট লেখা দেখে নেওয়া উচিত।

সাম্প্রতিকতম

কলকাতা ও তার আশেপাশে বিকেল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি, পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি থামবে কবে?

"১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪-এর বিকেল থেকে কলকাতার আবহাওয়া উন্নতি হবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তবে কাল থেকে আবহাওয়া পরিষ্কার হতে শুরু করবে। ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাপমাত্রা সর্বাধিক ৩০°C এবং আদ্রতা ৭৫-৮০% পর্যন্ত।"

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার, এ বার কি সংকট ডেকে নিয়ে আসবে পুলিশ?

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সামাল দিচ্ছে পুলিশ। ছবি: রাজীব বসু একদিকে যেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের...

বৃষ্টি উপেক্ষা করেই জুনিয়র ডাক্তাররা হাঁটলেন স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত, মহানগরী দেখল আরও মিছিল

কলকাতা: গত দুদিন ধরেই আকাশ চোখ রাঙাচ্ছে। চলছে রাতভর দিনভর বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টি...

টালা থানার ওসির পাশে নিচুতলা পুলিশ কর্মীরা, আইনি লড়াইয়ের জন্য একজোটের উদ্যোগ

টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারির প্রতিবাদে একজোট হচ্ছেন কলকাতা পুলিশের নিচু স্তরের কর্মীরা। রবিবার পুলিশ ক্লাবে বৈঠক করে আইনি লড়াইয়ের জন্য তহবিল গঠন এবং মিডিয়া সেল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

ক্যানসারের ওষুধ ও মুখরোচক খাবারে কমল জিএসটি, গবেষণায় পরিষেবায় মিলল ছাড়

৫৪তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে ক্যানসারের ওষুধের জিএসটি কমিয়ে ৫% করার ঘোষণা। স্বাস্থ্য বিমার হার কমানোর জন্য গঠন করা হয়েছে গোম। নামকিনের উপর জিএসটি কমিয়ে ১২%।

গত ৭ মাসে চা উৎপাদনে বড় পতন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ

২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) দেশে চা উৎপাদনে বড় পতন দেখা গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে উৎপাদন প্রায় ২০.৮% কমেছে। ছোট চা চাষিরা চা বোর্ডের কাছে চা তোলার শেষ তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছে।

৭৮% ডেলিভারি কর্মীর বার্ষিক আয় আড়াই লাখ টাকার নীচে, কর নিয়ে সচেতনতা কম, বলছে সমীক্ষা

ভারতের গিগ ইকোনমিতে ডেলিভারি কর্মীদের আয় নিয়ে সমীক্ষা প্রকাশ করেছে বোরজো। সমীক্ষায় উঠে এসেছে গিগ কর্মীদের কম আয় ও কর সচেতনতার অভাবের সমস্যা।
ইন্টারভিউয়ে কীরকম শরীরী ভঙ্গিমা থাকা উচিত বাড়তি মেদ ঝরানোর নয়া ট্রেন্ড ‘ওয়াটার ফাস্টিং’ কী?