নয়াদিল্লি: ২০২২-২৩ আর্থিক বছর এবং ২০২৩-২৪ মূল্যায়ন বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ হল ৩১ জুলাই ২০২৩। কিন্তু দেশের অনেক রাজ্যে বন্যা ও বিভিন্ন এলাকা জলে ডুবে যাওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছে আয়কর রিটার্ন দাখিলের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।
মেয়াদ ১ মাস বৃদ্ধির দাবি
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে দেশের ট্যাক্স প্রফেশনালদের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম সংগঠন সেলস ট্যাক্স বার অ্যাসোসিয়েশন। চিঠিতে লেখা হয়েছে, রাজধানী দিল্লিতে বন্যা পরিস্থিতির কারণে আইটিও-তে অবস্থিত আয়কর অফিস-সহ অনেক অফিস বন্ধ রয়েছে। এ দিকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ক্রমশ এগিয়ে আসছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক করদাতার পক্ষে শেষ তারিখের আগে সব ধরনের নথি জমা দেওয়া কঠিন। ফলে আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ এক মাস বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট, ২০২৩ পর্যন্ত করার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছাড়াও আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ বাড়ানোর দাবি করে সিবিডিটি চেয়ারম্যানের কাছে দরবার করেছে সংগঠন। আসলে বন্যা সমস্যা শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ নয়। উত্তর ভারতের অনেক রাজ্য এই প্রাকৃতিক প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হিমাচলপ্রদেশ থেকে আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য।
সম্প্রতি কেন্দ্রের রাজস্বসচিব সঞ্জয় মলহোত্রা জানান, যাঁদের অ্যাকাউন্ট অডিট করা হবে না তাঁদের শীঘ্রই আয়কর রিটার্ন দাখিল করা উচিত। এখনই আয়কর রিটার্ন দাখিলের তারিখ বাড়ানোর কথা ভাবছে না অর্থমন্ত্রক। তবে প্রবল বর্ষা, বন্যা ও পাহাড়ের সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে আয়কর রিটার্ন দাখিলের তারিখ বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
শেষ তারিখ পার হলে কী হবে?
কোনো বেতনভোগী ব্যক্তি এবং করদাতাদের জন্য (যাদের অ্যাকাউন্ট অডিট করার প্রয়োজন নেই) আইটিআর ফাইল করার সময়সীমা ৩১ জুলাই। যদি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আইটিআর ফাইল না করা হয়, তা হলে ১,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা হবে। যা আইটিআর দাখিল করার আগে পরিশোধ করতে হবে। চূড়ান্ত কর দায় শূন্য হলেও এই ফি বা জরিমানা দিতে হবে।
এ ছাড়াও, বিলম্বিত ফাইলিংয়ের ক্ষেত্রে, করদাতারা পরের বছরের আইটিআর ফাইলও করতে পারবেন না। তাছাড়া, নতুন ছাড়যুক্ত কর ব্যবস্থা বেছে নেওয়ার জন্য যোগ্য হওয়ার জন্য, একজনকে ৩১ জুলাই বা তার আগে তাদের আইটিআর ফাইল করতে হবে। কোনো ব্যক্তি আইটিআর ফাইল করার সময়সীমা অতিক্রম করে গেলে নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নিতে পারবেন না।
মনে রাখবেন যে যদি আইটিআর (আসল বা বিলম্বিত) দাখিল করা না হয় বা আয়কর আইনের আওতায় দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সংশোধিত আইটিআর ফাইল না করেন, তবে শর্ত থাকলে প্রাসঙ্গিক মূল্যায়ন বছরের শেষ থেকে ২ বছরের মধ্যে একটি আপডেট করা আইটিআর ফাইল করা যেতে পারে। আয়কর আইন, ১৯৬১-র ধারা ১৩৯ (৮এ)-তে এই বিধি উল্লেখ করা হয়েছে।
বলে রাখা ভালো, করদাতাকে প্রযোজ্য আয়কর এবং প্রদেয় সুদের সমষ্টির উপর ২৫ শতাংশ বা ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত আয়কর দিতে হবে। এটি নিয়মিত আয়কর, সুদ এবং বিলম্বিত ট্যাক্স পেমেন্ট এবং/অথবা আইটিআর ফাইলিংয়ের জন্য প্রদেয় প্রযোজ্য ফি-এর থেকে বেশি।
আরও পড়ুন: আইটিআর ফাইল করুন যত দ্রুত সম্ভব, সময়সীমা বাড়ানোর কথা ভাবছে না কেন্দ্র