ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং দেশের সবচেয়ে বড়ো কর্পোরেট সংস্থার মালিক মুকেশ অম্বানি (Mukesh Ambani)। বর্তমানে তাঁর মালিকানাধীন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (Reliance Industries Limited) দেশের বৃহত্তম লিস্টেড কোম্পানি। এহেন সংস্থার এমন একটি চমকপ্রদ বিষয় রয়েছে, যা শুনে অনেকেরই বিশ্বাস হবে না। জানেন কি, মুকেশ অম্বানির সংস্থার এক কর্মীর বেতন খোদ রিলায়েন্স কর্ণধারের চেয়ে বেশি!
বর্তমানে ভারতে যত বড়োবড়ো সংস্থা রয়েছে, সেগুলির মধ্যে কর্মী সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। সবচেয়ে বেশি কর্মী সংখ্যার বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে একটি হল এই সংস্থা। এই মুহূর্তে রিলায়েন্স ইন্ডিয়ার কর্মচারীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৩০ হাজার।
১৯৬৬ সালে ধীরুভাই অম্বানি এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। টেক্সটাইল মিল থেকে যাত্রা শুরু করে পেট্রো-কেমিক্যাল এবং খুচরো ও টেলিকমে ছড়িয়ে পড়েছে সংস্থা ব্যবসা। সম্প্রতি, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ আর্থিক খাতে একটি জোরদার উপস্থিতির নজিরও গড়েছে।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের লক্ষাধিক কর্মচারীর মধ্যে এমন কয়েক জন রয়েছেন যাঁরা অম্বানি পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত। কয়েক দশক ধরে অম্বানি পরিবারের ঘনিষ্ঠ তাঁরা। নিখিল মেসওয়ানি রিলায়েন্সের এমনই একজন কর্মী। মেসওয়ানি একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। নিখিলের ভাই হিতালও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের আধিকারিক পদে কর্মরত।
নিখিল এবং হিতাল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রসিকলাল মেসওয়ানির ছেলে। রসিকলাল ধীরুভাই অম্বানির বড় বোন ত্রিলোচনার ছেলে। নিখিল ১৯৮৬ সালে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিতে প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৮ সালে তিনি পূর্ণ-সময়ের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর হন।
সম্প্রতি ডিএনএ-র একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১-২১ সালে ২৪ কোটি বেতন পেয়েছিলেন নিখিল মেসওয়ানি। যেখানে মুকেশ অম্বানির বেতন ২০০৮-০৯ সাল থেকে ১৫ কোটি টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এর মধ্যে, করোনা মহামারির সময়, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ দুই বছর বেতন নেননি মুকেশ অম্বানি।
ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এক দিকে মুকেশ অম্বানির বেতন স্থির ছিল, অন্য দিকে নিখিলের বেতন ১০১–১১ সালে ১১ কোটি টাকা থেকে বাড়তে বাড়তে ২৪ কোটিতে ঠেকেছে। ফলে এই মুহূর্তে নিখিলের বেতন মুকেশের থেকেও বেশি।
আরও পড়ুন: আয়কর দাখিলের মেয়াদ বাড়াবে কেন্দ্র? অর্থমন্ত্রীর কাছে শেষ তারিখ বাড়ানোর আর্জি