কলকাতা: আজ (৩ এপ্রিল) থেকে বুধবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) মুদ্রানীতি কমিটির (MPC) বৈঠক। ফের এক দফায় মূল সুদের হার বা রেপো রেট বৃদ্ধির ঘোষণা করা হতে পারে বৈঠকের শেষ দিনে।
মূল মুদ্রাস্ফীতি এখনও উচ্চ স্তরে। বাজারগুলিকে আরও শক্তিশালী করার দরজা খোলা রেখে একাধিক বার মূল সুদের হার বা রেপো রেট বাড়িয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত বছরের মে মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ষষ্ঠ বার বেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মূল সুদের হার। এরই মধ্যে জল্পনা, এপ্রিলে দ্বি-মাসিক মুদ্রানীতির বৈঠক থেকে ফের একবার রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা করতে পারে আরবিআই।
গত বছরের মে থেকে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্বল্পমেয়াদী ঋণের হার ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ফের এক বার বৃদ্ধির ফলে রেপো রেট দাঁড়িয়েছে ৬.৫০ শতাংশে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেপো রেট আবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করতে পারে আরবিআই।
চলতি মাসের শুরুতে, আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছিলেন, “মহামারির সময় থেকে বিশ্ব অর্থনীতিতে একাধিক ধাক্কা থাকা সত্ত্বেও, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং বিশ্ব জুড়ে সুসংগত আর্থিক নীতি কঠোর হওয়া সত্ত্বেও, দেশীয় অর্থনীতি এবং আর্থিক ক্ষেত্র স্থিতিশীল রয়েছে। এমনকী সবচেয়ে খারাপ মুদ্রাস্ফীতির সময়কালকেও আমরা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি”।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এ বারের আর্থিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিদেশেও নজর থাকবে কমিটির সদস্যদের। আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজার্ভ, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড সুদের হার সংক্রান্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার উপর নির্ভর করে বিনিয়োগের প্রবণতা। কাজেই তাদের সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পদক্ষেপে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় তাকে রেপো রেট বলা হয়। আবার বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি যে হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয় তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট। বলে রাখা ভালো, মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক মন্দা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপের রেশ ধরেই সুদের হার বাড়ানোর পথ ধরছে অন্য ব্যাঙ্কগুলিও।
সাধারণত, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রেপো রেট কমানোর পরই বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলি নিজেরে সুদের হারে পরিবর্তন নিয়ে আসাটাই রীতি। ফলে রেপো রেট বাড়লে তার সরাসরি প্রভাব এসে পড়ে ঋণ শোধের প্রক্রিয়ায়। ঠিক এই কারণেই রেপো রেট বৃদ্ধি পেলে বাড়ি কিংবা গাড়ি কেনার ইএমআই বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পিছনে পড়ে রইলেন জো বাইডেন, ঋষি সুনকরা! জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী