পতৌদি নবাব বংশের পুত্রবধূ তিনি। সইফ আলি খানের ঘরণী গৃহিণী। সেই সঙ্গে তৈমুর আলি খান এবং জাহাঙ্গীর আলি খানের মা। বলিউড অভিনেত্রী করিনা কাপুর খানের রয়েছে একাধিক পরিচয়।
করিনা কাপুর সইফকে বিয়ে করার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে নানাভাবে ট্রোল্ড হতে হয়। নবাব বংশের পুত্রবধূ হয়ে কম কিছু কটাক্ষ সহ্য করতে হয়নি তাকে। এমনকি সন্তানদের জন্ম দেওয়ার পরেও তাকে অনেক কথা শুনতে হয়। বিশেষ করে দুই সন্তানের নামকরণ নিয়ে আজও কটাক্ষ করা হয় করিনাকে।
প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খান-র জন্মের পর প্রথম প্রথম অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছিলেন সইফিনা। কিন্তু গোল বাঁধলো ছেলের নাম জানাতেই। সইফ এবং করিনা তাদের সন্তানের নাম রাখেন তৈমুর। অত্যাচারী মুসলিম শাসক যিনি বিদেশ থেকে ভারতে এসে ভারতের সম্পত্তি লুট করে নিয়ে গেছিলেন, সেই তৈমুর লংয়ের নামে সন্তানের নাম রাখা নিয়ে ফুঁসে উঠেছিল গোটা দেশ।
করিনার কথায়, ‘শিশুকে নিয়ে যে এমন হতে পারে, তা আমরা কল্পনাও করিনি। তবে আমরা চুপ ছিলাম। কারণ, আমরা জানতাম যে ভুল করছি না। আমাদের যেটা পছন্দ, সেটাই করছি।‘
করিনা আরও জানান, ‘আমার ছেলের নাম তৈমুর লঙের নামে নয়। সইফের ছোটবেলার এক বন্ধুর নাম থেকে নেওয়া। সইফ বলেছিল এই নামটা তাঁর প্রিয়। তাই সেই নামটাই আমরা প্রথম সন্তানের জন্য় রেখেছি।‘
পড়ুন: ২৯ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কবে থেকে শুরু হবে? কারা থাকছেন বিশেষ অতিথি তালিকায়?
২০১২ সালে সইফ আলি খানকে বিয়ে করেন বলিউড অভিনেত্রী করিনা কাপুর। বিয়ের চার বছর পর ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর তাঁর কোল আলো করে আসে এক ফুটফুটে পুত্রসন্তান৷ তৈমুরের জন্ম দেন করিনা।
তৈমুরকে নিয়ে এতটাই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল পুরো দেশ। কেউ কেউ তো করিনার মৃত্যু কামনাও করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ কেউ মন্তব্য করেন, ‘জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে করিনার মৃত্যু হলে ভালো হত। তৈমুর জন্মাতো না।‘ নেট পাড়ার এত নৃশংসতা দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা নবাব পরিবার।
ছবি- ইন্সটাগ্রাম
বিনোদনের খবরের সব আপডেট পেতে পড়ুন খবর অনলাইন