বাইরে নয়, ঘরের ভেতরের বায়ুই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে দূষিত। বাইরের বাতাস দূষিত না হলেও ঘরের ভেতরে থাকা বাতাসবাহিত দূষিত পদার্থের কারণে মানুষ বেশি পরিমাণে অসুস্থ হচ্ছে। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
একাধিক বাড়িতে কম খরচের সেন্সর ও অভিনব উপায়ে গবেষণা চালান বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। দু’ সপ্তাহ ধরে একটানা গবেষণা চালানো হয়। ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ (Scientific Reports) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্র।
গবেষকরা দেখেছেন, বাইরের বাতাস ঠিক থাকলেও বাড়ির অন্দরমহলের বায়ু অত্যন্ত দূষিত। এমনকি বাড়ির অন্দরমহলের বায়ু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র পিএম ২.৫ বা দূষণের মাত্রা বিপজ্জনক ভাবে বেশি পরিমাণে পেরিয়ে গেছে। বাড়ির লোকেশন বা জায়গা, কত লোক থাকছেন, বাড়িতে হাওয়া চলাচলের পথ কী রকম, এ সবের ওপর নির্ভর করে বাড়ির অন্দরমহলের বায়ু কতটা দূষিত। গবেষকরা নন নেগেটিভ ম্যাট্রিক্স ফ্যাক্টরাইজেশন টুল ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করেন।
অন্য আরেকটি পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যে ঘরের ভেতরে সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালাই তাতে বেশি পরিমাণে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বাতাসে মেশে। এসিএস-এর ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি লেটার্স’ (Environmental Science and Technology Letters) নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা রিপোর্ট। গবেষণায় দেখা গেছে, সাদা রঙের মোমবাতির চেয়ে সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালালে বেশি পরিমাণে হাইড্রোকার্বন থাকা ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড বাতাসে মেশে। বাতাসে ধূলিকণার সঙ্গে মিশে এই বিষাক্ত পদার্থ নিঃশ্বাসের মাধ্যমে রক্তে মেশে। নানান রকম অসুখ ডেকে আনে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নুসরাত জঙ, ব্র্যান্ডন বুরের নেতৃত্বে একদল গবেষক এই গবেষণা চালান।