দুর্গাপুজো বছরে একবারই আসে। পুরো বছর ধরে প্রত্যেকটি মানুষ তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করে থাকে মা আবার কবে আসবে তার পিতৃভিটেতে। আর এই দুর্গোৎসবকে ঘিরেই প্রত্যেকের মধ্যেই উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে।
এই উৎসবের আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় পোশাক থেকে মেক-আপ সবকিছু কেনাকাটার প্ল্যানিং। সারা বছর ব্যস্ততার মধ্যে খেয়াল থাকে না ওজন বেড়ে যাওয়ার ক্থা।
হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই পুজো। ইচ্ছে থাকলে এক মাসের মধ্যেই পেতে পারেন সুন্দর মেদবিহীন চেহারা। তবে তার জন্য শুধু ব্যায়ম করলে হবে না মেনে চলতে হবে নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট। সেই রকমই একটি ডায়েট চার্ট রইল আপনাদের জন্য।
১। প্রাতঃরাশ
প্রাতঃরাশে খাবারের প্লেটে রাখুন ডালিয়া। সেইসঙ্গে ২-৩ রকমের ফল ও ২৫০ গ্রাম দুধ খাওয়া খুবই জরুরি। ফল মানে দামি খেতে হবে তেমনটা নয়। সস্তার মরশুমি ফল খাওয়া যেতে পারে। যারা দুধ খেতে পছন্দ করেন না তাঁরা দুটো ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।
২। সকাল ১১ টার ডায়েটচার্ট
ব্রেকফাস্টের ৩ ঘণ্টা পরে অল্প করে ছোলা সেদ্ধ, এক বাটি ছানা, নয়তো ডাবের জল খেতে হবে।

৩। লাঞ্চ
দুপুরের খাবারের মেনুতে রাখুন ১ বাটি তরকারি, সঙ্গে ১ পিস মাছ। তবে ভুলেও মাছের মাথা খাওয়া চলবে না। মাছ-তরকারির পাশাপাশি ১ বাটি ঘন ডাল আর শেষ পাতে খাওয়ার জন্য দই বা রায়তাও রাখতে পারেন।
৪। বিকেল ৪ টে
লাঞ্চের ৩ ঘণ্টা পরে অল্প পরিমাণে ছোলা সেদ্ধ, নয়তো মুগ সেদ্ধ খেতে হবে। ইচ্ছে হলে ভুট্টাও খেতে পারেন।
৫। বিকেল ৬ টার ডায়েটচার্ট
এরপর ১ কাপ গ্রিন টি অথবা ব্ল্যাক টি কিংবা ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন।
৬। ডিনার
ডিনারে ব্রাউন ব্রেড, ১ বাটি চিকেন স্যুপ অথবা ভেজিটেবল স্যুপ খেতে পারেন। এছাড়া ১ বাটি ডাল, ১ বাটি সবজি ও ১ টি রুটি খেতে পারেন।
ভাজাভুজি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা ভাল। তবে দু-একবার মশলাদার খাবার খাওয়া যেতে পারেন। তবে মাথায় রাখতে শুধু ডায়েট করলে হবে না সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়ামও করতে হবে।