Homeশরীরস্বাস্থ্যডায়াবেটিসে ভুগছেন? রোজ পেয়ারাপাতার চা খেয়ে দেখুন না!

ডায়াবেটিসে ভুগছেন? রোজ পেয়ারাপাতার চা খেয়ে দেখুন না!

প্রকাশিত

মৌ বসু

দামি নয় বেশি কিন্তু দারুণ উপকারী ফল পেয়ারা। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি, ফাইবার ও পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ পেয়ারা হল ডায়াবেটিস রোগীর বন্ধু। শুধু ফলই নয়, পেয়ারাপাতাও হল ডায়াবেটিস রোগীর বন্ধু। পেয়ারাপাতার রস ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পেয়ারাপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ট্যানিন ও পলিফেনল যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে পারে।

কেন খাবেন পেয়ারাপাতার চা

১) প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে বলে পেয়ারাপাতার চা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। গলাব্যথা, সর্দিকাশির সমস্যা দূর হয়।

২) অ্যান্টিইনফ্লেমটরি ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকে বলে পেয়ারাপাতার চা খেলে বদহজম, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা দূর হয়।

৩) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারাপাতার রসে এমন কিছু পদার্থ আছে যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৪) প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে বলে পেয়ারাপাতার চা খেলে ত্বক ভালো থাকে। ফ্রি র‍্যাডিকেলসের হাত থেকে ত্বকের কোষকে রক্ষা করে। ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া আটকায়।

৫) আর্য়ুবেদে বলা হয়েছে, যদি চা করে না খাওয়া সম্ভব হয় তা হলে প্রতিদিন ২-৩টি পেয়ারাপাতা চিবিয়ে খান খালিপেটে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য পেয়ারাপাতার রস টনিক হিসাবে কাজ করে। এ ছাড়াও রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৬) পেয়ারাপাতার রস রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে পেয়ারাপাতার রস। এজন্য রোজ খালি পেটে পেয়ারাপাতার চা খেলে বাড়তি মেদ ঝরে যায়।

৭) উদ্বেগ, অপুষ্টি, হরমোনের গণ্ডগোলের কারণে চুল ঝরতে থাকে। পেয়ারাপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি যা চুলের গোড়া মজবুত করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ পেয়ারাপাতার রস চুলকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে। চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ পেয়ারাপাতার রস কোলাজেন প্রোটিনের নিঃসরণ বাড়ায়। এই কোলাজেন প্রোটিন চুলকে মজবুত করে। চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। ফাঙ্গাস সংক্রমণের কারণে খুশকি হয়। অ্যাসট্রিনজেন্ট ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকে বলে পেয়ারাপাতার রস খুশকি প্রতিরোধ করে।

কী ভাবে বানাবেন পেয়ারাপাতার চা

এক কাপ জলে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ২-৩টি পেয়ারাপাতা ফোটান। চাইলে মধু বা চিনি দিতে পারেন। ৫-৭ মিনিট ফোটানোর পর কাপে ছেঁকে নিয়ে খান। দিনে ২-৩ বার খেতে পারেন। চুলেও পেয়ারাপাতার চা ঠান্ডা করে লাগাতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে চিনি বা মধু দেবেন না। এক ঘণ্টা রেখে চুল ভালো করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন।

আরও পড়ুন

মদ আর মাদকের হাতছানি কতটা প্রাণঘাতী, কী তথ্য উঠে এল হু’র রিপোর্টে

রাতে নাক ডাকার সমস্যা কোন কোন প্রাণঘাতী রোগ ডেকে আনতে পারে

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

মুড়ি, চিঁড়ে, খই— দেশি খাবারেই লুকিয়ে স্বাস্থ্যরহস্য

বাঙালির প্রিয় মুড়ি, চিঁড়ে ও খই শুধু দেশি খাবার নয়, এগুলিতে আছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ— জানুন এই তিন ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা।

নেলি হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট প্রকাশের সিদ্ধান্তে বিতর্ক: চার দশক পর নতুন করে উদ্বেগ ও আশঙ্কা

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: অসম সরকার ১৯৮৩ সালের ভয়াবহ নেলি গণহত্যার তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের...

আরও পড়ুন

মুড়ি, চিঁড়ে, খই— দেশি খাবারেই লুকিয়ে স্বাস্থ্যরহস্য

বাঙালির প্রিয় মুড়ি, চিঁড়ে ও খই শুধু দেশি খাবার নয়, এগুলিতে আছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ— জানুন এই তিন ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাবেন কেন? জানুন আশ্চর্য উপকারিতা

জিরে ভেজানো জল শুধু হজম নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটিও দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে জল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।

শহুরে ভারতীয়রা মিষ্টিপ্রেমী হয়ে উঠেছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের ৫১% শহুরে পরিবার মাসে অন্তত ৩-৪ বার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খান। তবে ৫৫% নাগরিক এখন পছন্দ করছেন কম চিনি দেওয়া মিষ্টি। ডায়াবেটিস ও কৃত্রিম শর্করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক বিশেষজ্ঞরা।