নিয়মিত ব্যায়াম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও, অনেক সময় শরীর এমন কিছু সংকেত দেয় যা অবহেলা করলে বড় বিপদ ঘটতে পারে। কলাকাতার এক প্রখ্যাত হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞের মতে “যে কোনও শারীরিক কসরতের সময় যদি বুকের অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট বা মাথা ঘোরা হয়, সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম বন্ধ করে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। এগুলো হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস হতে পারে।”
নিচে ব্যায়ামের সময় ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক সংকেত দেওয়া হলো—
১. বুকের ব্যথা বা চাপ (Chest Pain/Pressure)
বুকের মাঝখান বা বাম দিকে চাপ, জ্বালা বা টান লাগার অনুভূতি হার্টের রক্তপ্রবাহে বাধার ইঙ্গিত দিতে পারে। বিশেষত যদি ব্যথা কাঁধ, বাহু, ঘাড় বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে, তবে তা অবহেলা করবেন না।
২. শ্বাসকষ্ট বা অস্বাভাবিক ক্লান্তি (Shortness of Breath)
সামান্য পরিশ্রমেই যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বা হঠাৎ অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভূত হয়, তবে এটি হৃদ্যন্ত্রের দুর্বল হবার সংকেত।
৩. মাথা ঘোরা বা হালকা অজ্ঞান হওয়া (Dizziness/Fainting)
ব্যায়ামের সময় মাথা ঘোরা বা চোখে অন্ধকার দেখা দিলে হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা কমে গেছে বলে সন্দেহ হতে পারে। এই অবস্থা জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ডাবের জলে ভেজানো চিয়া সিডস: সকালে খালি পেটে খেলে মিলবে ৭ অসাধারণ উপকারিতা
৪. অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (Irregular Heartbeat/Palpitations)
হৃৎস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে যাওয়া, ধীর হয়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হওয়া—সবই হার্টের রিদম সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। ব্যায়ামের মাঝেও এটি ঘটতে পারে এবং ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. বমি বমি ভাব বা অতিরিক্ত ঘাম (Nausea/Excessive Sweating)
শরীরের তাপমাত্রা বেশি না থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ ঠান্ডা ঘাম হওয়া বা বমি ভাব অনুভব করা, প্রায়শই হার্ট অ্যাটাকের গোপন সতর্কবার্তা।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ওই চিকিৎসকের মতে “অনেক সময় তরুণ বা ফিটনেসপ্রেমীরাও ভাবে, তাদের হার্টের সমস্যা হবে না। কিন্তু হৃদ্রোগ বয়স দেখে আসে না। শরীরের সংকেত উপেক্ষা করলে বিপদ যে কোনও সময় আসতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, নিয়মিত চেকআপ, সুষম খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত জলপান এবং অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলা হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যায়ামের সময় শরীরের অস্বাভাবিক লক্ষণগুলো চিনে নেওয়া এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জীবন বাঁচাতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের সতর্ক সংকেতগুলো কখনোই উপেক্ষা করবেন না। মনে রাখবেন, আপনার স্বাস্থ্য আপনার হাতেই।
আরও পড়ুন: ঘর-গাড়ির ভেতরেই সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক দূষণ! দিনে ফুসফুসে ঢুকছে ৬৮ হাজার মাইক্রো প্লাস্টিক কণা