তরকারী হোক বা ভাজা, সুস্বাদু কুমড়ো খেতে ভালবাসেন সকলেই। এই সবজিটি যেমন সুস্বাদু, তেমনই উপকারী। তবে শুধু কুমড়ো নয়, এর বীজও খুবই উপকারী।
কুমড়ো বীজের উপকারিতা-
কুমড়ো বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাসের মতো একাধিক উপাদান। এই বীজের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি গুণ রয়েছে। এতে প্রোটিণ, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ও বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। নিয়মিত যদি এই বীজ খাওয়া যায় তাহলে শরীরে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
পড়ুন: পায়ের মেদ কীভাবে কমাবেন? করে দেখুন এই ৫ টি পায়ের ব্যায়াম
বাতের ব্যাথায়–
বাতের ব্যাথা নিরাময়ে কুমড়োর বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে-
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী কুমড়োর বীজ। শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রোগ–প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে-
কুমড়োর বীজ রোগ-প্রতিরোধ বাড়ায়। ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে এটি।
ওজন কমাতে-
ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত ভালো কুমড়োর বীজ। শর্করার বিকল্প হওয়ায় খিদে তাড়াতাড়ি মেটায়। শরীরের ওজন কমাতেও যা পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে-
কুমড়োর বীজ ফাইবারের একটি বড় উৎস। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
হাড়ের সমস্যা নিরাময়ে-
কুমড়ো বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক আর ম্যাগনেসিয়াম যা অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।
মানসিক অবসাদ কাটাতে-
কুমড়োর বীজে রয়েছে ট্রিপ্টোফ্যান নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা সুখানুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোনের নিঃসরণে সহায়তা করে এবং একই সঙ্গে মেলাটোনিন আর সেরোটোনিন নিঃসৃত হতে সহায়তা করে যা অবসাদ কাটিয়ে শরীর, মন তরতাজা করে তুলতে সাহায্য করে।
শরীরস্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবর পড়তে দেখুন খবর অনলাইন