Homeশরীরস্বাস্থ্যকাঁচা ছোলা কেন খাবেন? এই ৫ টি আশ্চর্যজনক সুফল পেতে পারেন কাঁচা...

কাঁচা ছোলা কেন খাবেন? এই ৫ টি আশ্চর্যজনক সুফল পেতে পারেন কাঁচা ছোলায়

প্রকাশিত

কাঁচা ছোলা যেমন রান্না করে খাওয়া যায় তেমনই কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া হয়। পুষ্টিগুণে ভরপুর উপাদেয় খাবার হল ছোলা। তাই রোজ পাতে এই খাবারটি রাখতেই পারেন। 

কাঁচা ছোলার উপকারিতা-

ছোলার মধ্য প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে আছে। এটি সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনের অংশ। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। ছোলা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তাই ছোলা খেলে দেশের বাড়তি চর্বি ঝরে যায়। প্রতিদিন সকালে কাঁচা ছোলা খেলে উপকার পাবেন। তাছাড়া ছোলায় আছে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, খনিজ লবণ এবং আরও ফসফরাস। আরও অনেক উপকার তো আছেই। উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ যুক্ত খাবার হল ছোলা। 

১। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে-

গবেষকদের মতে, যে সব অল্পবয়সী নারীরা খুব বেশি পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড যুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন, তাদের হাইপারটেনশন এর প্রবণতা কমে যায়। ছোলায় অনেক  ভালো পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড  থাকে তাই ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এছাড়া ও ছোলা বয়সসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

২। ক্যান্সার রোধে-

গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, যে যত বেশি পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড জাতীয় খাবারের সাথে খাবে। সেইসব মেয়েরা কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারবে। আবার ফলিক অ্যাসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে অ্যাজমার প্রকোপও অনেকটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ছোলা খাবেন এবং সুস্থ থাকবেন।

৩।মেরুদন্ডের ব্যথা দূর করে- 

এছাড়াও এতে ভিটামিন ‘বি’ও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ভিটামিন ‘বি’ কমায় মেরুদন্ডের ব্যথা, স্নায়ুর দুর্বলতা।

৪। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ছোলা-

ছোলাতে আছে বিভিন্ন রকমের খনিজ পদার্থ এবং এর মধ্যে থাকা ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগ অংশই হলো পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বা তেল। এই উপাদানটি শরীরের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয়। বরং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট দেহে থাকা অতিরিক্ত ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। এছাড়া ছোলাতে রয়েছে প্রোটিন, আমিষ, ভিটামিন ইত্যাদি, যা শরীরের জন্য বেশ ‍উপকারী।

৫। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ছোলা-

ছোলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। আঁশ সাধারণত খাদ্য হজমে সহায়তা করে থাকে। আঁশ কোনও ভাবেই পাকস্থলিতে হজম হয় না। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তারা ছোলা খেতে পারেন। কারণ ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ।

শরীরস্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবর পড়তে দেখুন খবর অনলাইন

আরও পড়ুন: নিয়মিত কারি পাতা খাবেন কেন? জেনে নিন এই ৫ টি সুফল সম্পর্কে

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

শাহবাজের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতকে চাপে ফেলল বাংলা

কলকাতা: পাঁচ মাসের বিরতির পর চোটমুক্ত হয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করলেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। ডান...

বাংলায় শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সোমবারই ঘোষণা কমিশনের — ১ নভেম্বর থেকে ঘরে ঘরে বিএলও

নির্বাচন কমিশন সোমবার ঘোষণা করবে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর দিনক্ষণ। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৫টি রাজ্যে মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু। ১ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি যাবেন বিএলও।

অস্ত্র-সহ আলফা (স্বাধীন)-এর সদস্য গ্রেফতার, উদ্ধার আরপিজি ও বিপুল গোলাবারুদ

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে আবার ধরা পড়ল আলফা (স্বাধীন) সংগঠনের এক দুর্ধর্ষ ক্যাডার।...

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলা ছোটগল্পের সমাজ ও সময়ের প্রতিফলন — আঠারোটি প্রবন্ধে বৈচিত্র্যে ভরপুর সংকলন

‘স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলা ছোটগল্পে সমাজ ও সময়ের দ্বন্দ্ব’ সংকলনে আঠারোটি প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে স্বাধীনোত্তর বাংলার সমাজ, রাজনীতি ও মানুষের অন্তর্জগৎ। সম্পাদনায় ড. রামেন্দ্র দাস।

আরও পড়ুন

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাবেন কেন? জানুন আশ্চর্য উপকারিতা

জিরে ভেজানো জল শুধু হজম নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটিও দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে জল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।

শহুরে ভারতীয়রা মিষ্টিপ্রেমী হয়ে উঠেছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের ৫১% শহুরে পরিবার মাসে অন্তত ৩-৪ বার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খান। তবে ৫৫% নাগরিক এখন পছন্দ করছেন কম চিনি দেওয়া মিষ্টি। ডায়াবেটিস ও কৃত্রিম শর্করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক বিশেষজ্ঞরা।

এক চিকিৎসকের আট বছরের লড়াইয়ে বড় জয়, ভুয়ো ওআরএস-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল FSSAI, আসল চিনবেন কী করে?

হায়দরাবাদের শিশু-রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শিবরঞ্জনী সন্তোষের দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলে বড় পদক্ষেপ নিল FSSAI। WHO-র নির্ধারিত মান না মেনে ‘ORS’ নামে বিক্রি হওয়া পানীয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। শিশুদের জন্য বিপজ্জনক এই মিষ্টি পানীয় নিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর আইনি লড়াই প্রায় এক দশক আগে।