দোল এসে গেল। শাস্ত্র অনুসারে বৈষ্ণবীয় উৎসবের শেষ উৎসব হোলি বা দোল উৎসব। ফাল্গুনী পূর্ণিমায় উদ্যাপিত এই উৎসবের উল্লেখ মেলে পুরাণে। তবে শুধু দেবতাকে রাঙিয়ে তোলা নয়, দোল উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে জীবনের নানা রং। দোল উৎসবে যেমন মিশে আছে উদ্যাপনের বৈচিত্র। এককথায় দোল, রঙে রঙে রাঙিয়ে ওঠার দিন। আকাশ-বাতাসও মেতে উঠবে রঙের ছোঁয়ায়।
এই রঙিন দিনে স্পেশাল সরবত যদি বাড়িতেই বানাতে পারেন। তাহলে আরও জমে উঠবে দোল বা হোলি উৎসব।
দোল বা হোলিকে রঙিন করে তুলতে বাড়িতেই তৈরি করুন কেশর ঠান্ডাই।
উপকরণ-
দুধ ১ লিটার, কাজুবাদাম ২৫ গ্রাম, পেস্তা, কাঠবাদাম, পোস্ত, চারমগজ ১ চামচ, গোটা গোলমরিচ, ছোটো এলাচের দানা ৬-৮টি, মৌরি, সিদ্ধি ৪-৫ গ্রাম, কেশর ১ চিমটে, চিনি আধ কাপ, পরিমাণমত জল, গোলাপের পাপড়ি ৫-৬ টি।
প্রণালী-
প্রথম পদ্ধতি–
১ টি বড় পাত্রে দুধ নিয়ে আভেনে ১৫-২০ মিনিট ধরে ফোটাতে থাকুন। দেখবেন, দুধের তলা যেন ধরে না যায়। দুধ ঘন হয়ে এলে তাতে চিনি মিশিয়ে দিন। চিনি গলে গেলে ১ চিমটে কেশর দিন। এর পর দুধের পাত্র ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন ৪-৫ ঘণ্টার জন্য।
দ্বিতীয় পদ্ধতি–
মৌরি ও সিদ্ধি ২-৩ ঘণ্টা আগে থেকেই জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর জল ঝরানো সিদ্ধির সঙ্গে গোটা গোলমরিচ, মৌরি ও ছোট এলাচ মিশিয়ে জল দিয়ে মিক্সিতে ঘন একটা পেস্ট তৈরি করুন। শিলনোড়াতেও বেটে নিতে পারেন।
তৃতীয় পদ্ধতি–
এরপর পোস্ত ও চারমগজের মিশ্রণে ২ চামচ মতো জল দিয়ে মিক্সিতে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন।
চতুর্থ পদ্ধতি–
কাজুবাদাম, পেস্তা ও কাঠবাদাম আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর জল ঝরানো কাজু, পেস্তা ও কাঠবাদামে ৩ চামচ জল দিয়ে মিক্সিতে ভালো করে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন, কোনও পেস্টই কিন্তু কাদাকাদা হবে না, আবার শক্তও হবেনা, নরম থকথকে ঘন হবে।
পঞ্চম পদ্ধতি–
এরপরে সবকটা পেস্ট একে একে ঠান্ডা দুধে মিশিয়ে দিন। ভালো করে ডাল ঘোটার কাঁটা বা হ্যান্ড ব্লেন্ডার দিয়ে দুধের সঙ্গে সব উপকরণ মিশিয়ে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করুন।
ষষ্ঠ পদ্ধতি–
সবশেষে, প্রতিটি ঠান্ডাইয়ের গ্লাসে ২-৩ কুঁচি গোলাপের পাপড়ি দিয়ে দিন। যদি মাটির গ্লাসে এই ঠান্ডাই পরিবেশন করতে পারেন তো খুব ভালো হয়। দেখতেও সুন্দর লাগে।
রঙিন দিনকে আরও রঙিন করতে নজর রাখুন খবর অনলাইনে।