ঢাকা: বাংলাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে হিংসা অব্যাহত। দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর সরকার সারাদেশে কারফিউ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্ত নেন। এ খবর জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান, আইন মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে মৃত বেড়ে ২৭, বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের ঘরে থাকার পরামর্শ হাইকমিশনের
ঢাকায় হিংসা ও প্রাণহানি
শুক্রবারের হিংসায় ঢাকায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার রামপুরা-বনশ্রী এলাকায় ব্যাপক হিংসা ঘটে, যেখানে ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ১০ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালের ম্যানেজার রুবেল হোসেন জানিয়েছেন, নিহত সকলেই গুলিতে মারা গেছেন এবং তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া, ফরাজী হাসপাতালে আহত প্রায় ৩০০ জনের চিকিৎসা করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, জোবায়ের ব্যাপারী নামে ৪০ বছর বয়সী একজন ব্যবসায়ীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি জানান, জোবায়ের ব্যাপারী পথচারী হিসেবে সংঘর্ষের এলাকা অতিক্রম করছিলেন। এছাড়া, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অন্তত ৮৯ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
সরকারের প্রতিক্রিয়া
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সারা দেশে যে সকল জায়গায় সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে, সেসব জায়গায় সেনাবাহিনী প্রশাসনকে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, “আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী সহায়তা প্রদান করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”


                                    