কলকাতা: “চিকিৎসক যতই ভালো হন, ওষুধ ভালো না হলে সেই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসার ঘটতে পারে না। আর যদি ওষুধ ভালো হয়, তা হলে চিকিৎসক বাঁচবেন, ওষুধ প্রস্তুতকারী থেকে দোকানদার বাঁচবেন, সর্বোপরি রোগী বাঁচবেন”। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই মন্তব্য বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক প্রকাশ মল্লিকের।
এ দিন প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল হোমিওপ্যাথি ওষুধ বিক্রেতাদের সংগঠন বেঙ্গল হোমিওপ্যাথিক কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচসিডিএ) উত্তর কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা শাখা। আগামী ২২ জানুয়ারি বরানগর রবীন্দ্রভবনে ‘আনন্দ উৎসব ২০২৩’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তারা। বহুবিধ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ওই অনুষ্ঠানে হোমিওপ্যাথি গবেষণা এবং চিকিৎসায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘হোমিওজ্যোতি’ এবং ‘হোমিওরত্ন’ নামে দু’টি পুরস্কার প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতীদেরও সম্মানিত করার পাশাপাশি থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানেরই বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা উদ্যোক্তারা এ দিন তুলে ধরেন প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক সম্মেলনে।
বাংলায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এবং ওষুধের কদর বরাবরই। তবে শুধু ভারতবর্ষ নয়, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই হোমিওপ্যাথি সমাদৃত। উৎসব কমিটির সভাপতি জয়দীপ রায় জানান, ইউরোপের ৭২ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথি ওষুধে নির্ভরশীল। সমাজের প্রতিটা স্তরের মানুষের কাছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সুবিধার কথা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। তাঁর কথায়, সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একেবারে তৃণমূল স্তরের মানুষের কাছে এর সুবিধা পৌঁছে দিতে পারলে সর্বাংশে হোমিওপ্যাথির প্রচার এবং প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছে।
এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বাড়তি পাওনা হিসেবে ছিল রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির কর্ণধারদের উপস্থিতি। ছিলেন ‘আনন্দ উৎসব ২০২৩’-এর টাইটেল স্পনসর শেঠ দে অ্যান্ড হোমিও কোম্পানির কর্ণধার সৌম্যশঙ্কর দে। তিনি বলেন, “আমরা হোমিওপ্যাথিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছি। আমরা সবাই এই সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত। আগামী ২২ জানুয়ারির ‘আনন্দ উৎসব ২০২৩’ আদতে হোমিওপ্যাথির স্বার্থেই”।
এ দিনের সংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থেকে মূল্যবান মন্তব্য পেশ করেন বিএইচসিডিএ-র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সচ্চিদানন্দ চৌধুরী এবং অ্যালেন ল্যাবরেটরিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. জিপি সরকার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: কালীঘাটের আদলে তৈরি হচ্ছে দমকল কেন্দ্র, আসছে ড্রোন