কলকাতা: শুক্রবার ভোরে নিউটাউন এলাকায় একটি বাড়ির খাটের তলায় স্যুটকেসের মধ্যে থেকে এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার ঘিরে জোর চাঞ্চল্য। অভিযোগ, পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে।
ঘটনায় প্রকাশ, নিউটাউনের তারুলিয়ায় বন্ধুর ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। স্যুটকেসের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল দেহটি। সেলোটপ দিয়ে মুখ সাঁটা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দেহ। মৃত যুবকের নাম সাজিদ হোসেন। বছর উনিশের ওই যুবকের বাড়ি মালদার কালিয়াচক এলাকায়। ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।
নিউটাউনের তারুলিয়ায় মাস পাঁচেক আগে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন কালিয়াচক থানার ষোলো মাইল এলাকার বাসিন্দা এই মেধাবী ছাত্র সাজিদ। সেখানেই অন্য তিনটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন গৌতম সিং। গৌতমের ঘর থেকেই এ দিন ওই যুবকের সুটকেসবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। যুবককে খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গৌতম সিং এবং তাঁর সহকারী পাপ্পু ঘোষকে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। এ ছাড়াও দুই বান্ধবীকে আটক করেছে পুলিশ। খুনের ঘটনা এক অভিযুক্ত স্বীকার করে নিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
জানা যায়, ১৯ বছরের সাজিদ হোসেনের বাবা মোক্তার হোসেন সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী। সাজিদ নিট পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নিউটাউনের একটি প্রাইভেট কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। ভাড়াবাড়ির ঠিক নীচে গৌতমের ফাস্ট ফুডের দোকান। সেখান থেকেই আলাপ ও পরে বন্ধুত্ব।
মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, ঘটনার রাতে সাজিদের কাছে বাবার পাঠানো মোটা টাকার ট্রানজাকশন দেখতে পান গৌতম। সেই সময় সাজিদ তাঁর বাড়িতেই হইহুল্লোড় করতে গিয়েছিলেন। টাকা ঢোকার পরেই সেই টাকা চাওয়া হয়। রাজি না হলে হুমকি দেওয়া হয়। এরপর জোর করে সেলোটেপ দিয়ে মুখ-নাক বেঁধে ছবি তোলা হয়। সূত্রের খবর, মদ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে প্রথমে খুন। তারপরে মুখে সেলোটেপ জড়িয়ে দেয় মৃত্যু নিশ্চিত করতেই। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন গৌতম।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে সাততলা বাড়িতে আগুন, মৃত অন্তত ৭, জখম ৫১