Home খবর কলকাতা ‘দ্য বেঙ্গল ফাইল’ বিতর্কে তুঙ্গে, গোপাল ‘পাঠা’র নাতির আইনি নোটিস পরিচালক বিবেক...

‘দ্য বেঙ্গল ফাইল’ বিতর্কে তুঙ্গে, গোপাল ‘পাঠা’র নাতির আইনি নোটিস পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীকে

দ্য বেঙ্গল ফাইলস
দ্য বেঙ্গল ফাইলস ছবিতে গোপাল পাঠার ভূমিকায় সৌরভ দাস

কলকাতা: পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ মুক্তির আগেই তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। গোপাল মুখার্জি, যিনি ‘গোপাল পাঠা’ নামে পরিচিত ছিলেন এবং ১৯৪৬ সালের ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে’-র দাঙ্গায় কেন্দ্রীয় কলকাতার হিন্দু এলাকাগুলির অন্যতম রক্ষক হিসাবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছিলেন, তাঁকে ‘অপমানজনক ও বিকৃত’ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁর নাতি শান্তনু মুখার্জি।

শনিবার আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গলে ছবির ট্রেলার প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে অগ্নিহোত্রীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বাগযুদ্ধ শুরু হয়। পরিচালক অভিযোগ করেন, বাংলায় ‘‘অরাজকতা ও একনায়কতন্ত্র’’ চলছে। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, ‘‘এটি একটি নির্বাচনের আগে তৈরি রাজনৈতিক ভিডিও, সিনেমা নয়।’’

তবে পরিবার রাজনীতিতে জড়াতে চায় না, জানিয়েছেন শান্তনু। তিনি বলেন, ‘‘ট্রেলার দেখে আশঙ্কা আরও বেড়েছে। দাদুকে ‘একটা মুসলিমবিদ্বেষী কসাই’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। অথচ ১৯৪৬ সালে দাদু হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলিম পরিবারগুলিকেও রক্ষা করেছিলেন। মালাঙ্গা লেনের মুসলিম প্রতিবেশীদের তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন।’’

শান্তনু জানান, গোপাল পট্টা তাঁর অনুসারীদের বলেছিলেন— ‘‘নিরপরাধ কাউকে হত্যা কোরো না। শিশু, নারীকে রক্ষা করো, সে হিন্দু হোক বা মুসলিম।’’ কিন্তু ট্রেলারে তাঁকে ‘এক ছিল কসাই’ বলে দেখানো হয়েছে। শান্তনুর কথায়, ‘‘আমাদের কাছে দাদু ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজসেবক। তিনি গান্ধীজির অনুসারী ছিলেন, পরে নেতাজির মতোই সশস্ত্র সংগ্রামের পথে হেঁটেছিলেন। তাঁকে মুসলিমবিদ্বেষী কিংবা গান্ধীবিরোধী হিসেবে দেখানো ইতিহাস বিকৃত করা ছাড়া কিছু নয়।’’

পরিবারের বক্তব্য, ‘গোপাল পাঠা’ নামটি এসেছে বাংলার ‘বুকের পাটা’ শব্দ থেকে। অথচ ছবিতে নামটি এমনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে ‘পাঠা’ মানে ‘ছাগল’ বোঝায়, যা বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।

১৯৩৫ সালে প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিটে গোপাল মুখার্জির মাংসের দোকান খোলা হয়েছিল। পরিবার জানিয়েছে, মুসলিম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই দাদু ছাগল কিনতেন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-র আগেও এবং পরেও। ২০০৫ সালে ৯২ বছর বয়সে গোপাল মুখার্জির মৃত্যু হয়।

শান্তনু ইতিমধ্যেই ১৪ জুলাই পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছেন এবং আইনি নোটিস পাঠিয়ে অভিযোগ করেছেন, ‘‘পরিচালকের কার্যকলাপ ইচ্ছাকৃতভাবে দাদুর ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করছে, তাঁকে সাম্প্রদায়িক ঠগ হিসেবে তুলে ধরছে এবং সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।’’

আরও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গে কবে শুরু হবে বিশেষ ও নিবিড় সংশোধন (SIR)? সাংবাদিক বৈঠকে যা জানাল কমিশন

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version