তিলজলায় নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ পুলিশি জেরায়স্বীকার করে নিল ধৃত যুবক। খুনের আগে নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহ করে সে বলে পুলিশি জেরায় সে স্বীকার করেছে। ধৃত অলোক কুমার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগের পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা করেছে পুলিশ। এ দিকে ধৃতের কঠোর শাস্তি দাবি করে বন্ডেল গেট সহ পিকনিক গার্ডেন এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পার্ক সার্কাস এবং বালিগঞ্জ স্টেশনের মধ্যে রেল অবরোধও চলে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃত আলোক জানিয়েছে, প্রথমে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে সে। তার পর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুনের চেষ্টা করে সে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শিশুটিকে ধর্ষণও করে সে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিহারের বাসিন্দা অলোক কুমারকে রবিবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিলজলার শ্রীধর রায় রোডের যে আবাসনে ওই নাবালিকা থাকত, অলোক সেই আবাসনেরই তিন তলায় থাকত। রবিবার সকাল আটটা নাগাদ তিলজলার বাসিন্দা ওই নাবালিকা ময়লা ফেলার জন্য বাইরে যায়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ মেয়ে না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন বাবা-মা। খোঁজ না মেলায় রবিবার বেলা বারোটা নাগাদ তিলজলা থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। যদিও শিশুটির বাবার অভিযোগ, বার বার অনুরোধ করলেও প্রথমে শিশুটির খোঁজে তৎপর হয়নি পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরা তল্লাশি শুরু করেন। পরে সিসিটিভি
খবর অনলাইনে পড়ুন
আমেরিকায় গুরুদ্বারে চলল গুলি, আহত ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
ফুটেজ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় আবাসনের মধ্যেই নাবালিকা কোথাও। তারা তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশি চলাকালীন আবাসনের তিন তলায় অলোক কুমারের ফ্ল্যাটে ঢোকে পুলিশ। সেই সময় রান্না করছিল অলোক কুমার নামে ওই অভিযুক্ত। রান্নাঘরের ভিতরেই একটি বস্তা দেখে সন্দেহ হয় পুলিশ। বস্তা খোলার চেষ্টা করতেই বাধা দেয় অভিযুক্ত অলোক কুমার। পুলিশ জোর করে বস্তা খুলতেই শিশুটির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তান্ত্রিকের নির্দেশ কি শিশুবলি?
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অলোক কুমার জানিয়েছে গর্ভবতী স্ত্রীর গর্ভপাত ঠেকাতে তান্ত্রিকের নির্দেশে নাবালিকাকে বলি দিয়েছে সে। সেই তান্ত্রিক নির্দেশ দেয় যে নবরাত্রির মধ্যে নাবালিকাকে বলি দিলে, তার স্ত্রীর সন্তান হবে। সেই তান্ত্রিকের খোঁজ করছে পুলিশ।