নয়াদিল্লি: জুলাইয়ের প্রথম দিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতে এখন লোকসভা ভোট চলছে। ফলাফল আগামী ৪ জুন। নয়াদিল্লিতে গঠিত হবে নতুন সরকার। তার পরপরই নয়াদিল্লি আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এই একই সময়ে চিন সফরেও যাবেন হাসিনা।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ঢাকা ও বেজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে ভারত উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে, চিনের অস্ত্র দ্রুত বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভিত্তি হয়ে উঠার বিষয়টি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। এমন একটা পরিস্থিতিতেই ভারতে আসতে চলেছেন শেখ হাসিনা।
সবকিছু ঠিকঠাক চললে, লোকসভা ভোটের পর ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য ভারত সফরে আসা প্রথম বিশ্বনেত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে হাসিনার। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের কৌশলগত ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চিনা উপস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লির “উদ্বেগ বেড়েছে”। সূত্রের খবর, গত বছর চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় কমিশন পেয়েছে ১.২ বিলিয়ন ডলারের ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’ সাবমেরিন ঘাঁটি। এটা চিনের সহায়তায় নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি।
বাংলাদেশ নিজের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি কার্যকরী পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তারা ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’-এর বাস্তবায়ন করছে। দেশের ফ্ল্যাগশিপ প্রতিরক্ষা নীতি ২০০৯ সালে প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল। সাবমেরিন ঘাঁটিটি ঢাকার দুটি সাবমেরিন-বিএনএস নবযাত্রা এবং বিএনএস জয়যাত্রা-ও স্থাপন করবে।
সূত্রের মতে, বাংলাদেশ-চিন সম্পর্কের উপর নজর রাখছে ভারত। প্রতিটি দেশের একটি স্বাধীন প্রতিরক্ষা এবং বিদেশ নীতির নিজস্ব সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। তবে, বাংলাদেশ ও চিনের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের বিষয়টি ভারতের নজর এডানোর কথা নয়।
বাংলাদেশ সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রথম মুখোমুখি হতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সরকার ভারত ও চিনের মধ্যে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখবে, যা শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পডুন: ‘বেসরকারি সংস্থাগুলি মহাকাশকে আরও সহজলভ্য করে তুলবে’, দাবি ইসরো প্রধানের