কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বন্ধ হয়ে যাওয়া ১৮ মাসের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি।
সোমবার মিজোরামের একমাত্র লোকসভা সাংসদ সি লালরোসাঙ্গার প্রশ্নের উত্তরে বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ জবাব দেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী। অদূর ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য কোভিড মহামারির সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া ১৮ মাসের বকেয়া ডিএ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি নাএবং যদি তাই হয়, তার বিশদ বিবরণ এবং কখন দেওয়া হবে সে সম্পর্কে একটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, “২০২০ সালের ১ জানুয়ারি, ২০২০ সালের ১ জুলাই এবং ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য ডিএ এবং ডিআর-এর তিনটি কিস্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কোভিড-১৯ মহামারি অর্থনৈতিক ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছিল। আর্থিক চাপ কমানোর উদ্দেশেই ওই তিনটি কিস্তির ডিএ স্থগিত রাখা হয়। এর মাধ্যমে সরকার ৩৪,৪০২.৩২ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে কেন্দ্র। ২০২০-২১ অর্থবছরের পরেও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাই ডিএ এবং ডিআর-এর বকেয়া, যা বেশিরভাগই ২০২০-২১ সালের অর্থবছরের সঙ্গে সম্পর্কিত, তা সম্ভাব্য বলে বিবেচিত হয় না”।
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী এবং পেনশনভোগী সমিতি ১৮ মাসের বকেয়া ডিএ এবং ডিআর দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি আবেদন করেছে। তবে মন্ত্রী আরও বলেন, “এমনকি এখনও সরকারের রাজস্ব ঘাটতি দ্বিগুণেরও বেশি। তাই ওই বকেয়া ডিএ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়নি”।
বিভিন্ন সময় মিডিয়া রিপোর্টে ওই ১৮ মাসের বকেয়া ডিএ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই জবাবে কার্যত বকেয়া ডিএ যে মিলছে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল!
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ৫০ শহরের মধ্যে ৩৯টি ভারতে, দিল্লির পরেই কলকাতা