শুক্রবার সন্ধ্যায় বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ তিন দুর্ঘটনার কারণ কী? তা নিয়েই চলছে কাটাছেঁড়া। করমণ্ডল এক্সপ্রেসটি মূল লাইনের পরিবর্তে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল এবং আগে থেকেই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িতে ধাক্কা মারা সেটি, শনিবার প্রকাশিত একটি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
ওড়িশার বালেশ্বর স্টেশনের কাছে শুক্রবার সন্ধের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, ডাউন হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি। এই ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে শুক্রবার থেকেই নানা তত্ত্ব উঠে আসছিল। তবে শনিবার রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট ও রেলের ট্রাফিক চার্টের চিত্রই তুলে ধরল আসল কারণ।
তদন্তের পরে রেলের প্রাথমিক রিপোর্টে করমণ্ডল দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সিগন্যালে ত্রুটির দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। তবে বিস্তারিত তদন্তে দুর্ঘটনার কারণ আরও স্পষ্ট হবে বলে রেলের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য।
রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট বলা হয়েছে, সিগনাল নয়, পয়েন্টের গোলমালেই লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ধাক্কা মারে সেই লাইনেই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে। সংঘর্ষের জেরে লাইনচ্যুত হয় ২১টি কামরা, ৩টি কামরা ছিটকে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে। আবার ওই লাইন দিয়েই হাওড়া ফিরছিল যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনটি ধাক্কা মারে লাইনচ্য়ুত হওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কামরায়। লাইনচ্যুত হয় যশবন্তুপুর এক্সপ্রেসের দুটি কামরা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, “১২৮৪১-এর জন্য আপ মেন লাইনের জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল এবং সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ট্রেনটি একটি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে এবং আপ লুপ লাইনে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এরই মধ্যে, ১২৮৬৪ ডাউন ট্রেনটি মেন লাইনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।”
যদিও মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কী ভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে সিগন্যাল দেওয়ায় কোনো ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওড়িশার দুর্ঘটনা সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:
ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ জয়নগরের যুবক, উদ্বিগ্ন পরিবার
ওড়িশার দুর্ঘটনাস্থলে মমতা, এই রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘোষণা করলেন আর্থিক সাহায্য
হতাহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, কী ভাবে এত বড়ো দুর্ঘটনার কবলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২৮০, আহত ৬৫০