চলে গেলেন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য উমেন চাণ্ডি। মঙ্গলবার সকালে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
এ দিন প্রয়াত কংগ্রেস নেতার ছেলে ফেসবুকের একটি পোস্টে জানান, ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ প্রয়াত হয়েছেন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯ সাল থেকে ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল তাঁর।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে কেরল সরকার। জানা গিয়েছে, তাঁর মৃতদেহ তিরুবনন্তপুরমে নিয়ে যাওয়া হবে। কংগ্রেস রাজ্য কমিটির অফিস এবং পরে সচিবালয়ের দরবার কক্ষে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মৃতদেহ রাখা হবে। বৃহস্পতিবার কোট্টায়মের পুথুপ্পল্লীতে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
বর্ণময় রাজনৈতিক জীবন
১৯৪৩ সালের ৩১ অক্টোবর কেরলের কোট্টায়াম জেলায় জন্ম উমেন চাণ্ডির। কংগ্রেসের ছাত্র শাখা কেরল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের মাধ্যমে রাজনীতিতে দীক্ষিত হন তিনি। আইনে স্নাতক মেধাবি ছাত্র পরবর্তীতে কেরল যুব কংগ্রেসের একজন বিশিষ্ট নেতা হয়ে ওঠেন এবং ১৯৬৯ সালে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হন।
টানা ১২ বার একই বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি। কেরলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য বিধানসভার সদস্য থাকার নজির তাঁরই নামে। প্রথম বার বিধায়ক হন ২৭ বছর বয়সে।
দু’দফায় মোট সাত বছর কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন উমেন। প্রথম দফায় ২০০৪ থেকে ২০০৬ এবং পরে ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়াও শ্রম দফতর, স্বরাষ্ট্র, অর্থ দফতরের মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এমনকী কেরল বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্বও পালন করেছিলেন উমেন।
শোকপ্রকাশ বিজয়নের
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে কেরলের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে বলেন, উমেন চাণ্ডি একজন দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে সম্পর্ক রেখে চলতেন তিনি।
বিজয়ন বলেন, “আমরা একই বছরে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলাম। একই পর্যায়ে ছাত্রজীবনের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনীতিতে আসি। আমরা একই সময়ে মানুষের সঙ্গে থেকেছি। তাঁকে বিদায় জানানো অত্যন্ত কঠিন।”
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত, বাংলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কি?