নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার জবরদখল উচ্ছেদ ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি। এলাকার বনভুলপুরায় ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে, মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী শুক্রবার সরকারি বাসভবনে আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেন। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে, পুলিশকে কঠোর ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, হলদোয়ানির জনগণকে শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ-প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
পুলিশের দাবি, সরকারি জমিতে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গেলে দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনামাফিক হামলা চালায়। ওই ঘটনায় অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা আড়াইশোর বেশি। হামলা হয় কাছের একটি পুলিশ ফাঁড়িতেও। সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বহু যানবাহনেও দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও গুলি চালায়।
মুখ্যমন্ত্রী ধামী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, অগ্নিসংযোগ এবং পাথর ছোড়ার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সম্প্রীতি এবং শান্তি বিঘ্নিতকারী কোনো দুর্বৃত্তকে রেহাই দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, দাঙ্গাবাজ ও দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনায় প্রকাশ, হলদোয়ানির বিখ্যাত বনভুলপুরায়, পুলিশ-প্রশাসন এবং পুরসভার দল আক্রমণের শিকার হয়। অভিযোগ, সরকারি জমিতে নির্মিত অবৈধ মাদ্রাসা এবং নামাজের জায়গাটি ভাঙতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের কয়েক ডজন গাড়ি পেট্রোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
হলদোয়ানি জেলা পুলিশের সিনিয়র সুপার প্রহ্লাদ মীনা এ দিন বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনেই উচ্ছেদ অভিযান সংগঠিত হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: পারদ নামলেও স্থায়ী হওয়ার লক্ষণ নেই, সপ্তাহ ঘুরলেই আবহাওয়ার ভোলবদল