দেহরাদুন: ফের ভূমিধস। উত্তরাখণ্ডের একটি নির্মীয়মান টানেলে ৭০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আটকে থাকা ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধারের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে তুলেছে ওই ভূমিধস।
উদ্ধারকারী আধিকারিকরা ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে স্টিলের পাইপ ঢোকানোর জন্য ড্রিলিং মেশিন বসাতে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে কয়েক ঘন্টা ব্যয় করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে একটি ভূমিধসে প্ল্যাটফর্ম ভেঙে পড়ে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মেশিনটি দিয়ে কাজ শুরু করতে বাধার সৃষ্টি হয়।
জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের বেরিয়ে আসার জন্য ড্রিলিং মেশিনটি একটি পথ তৈরি করবে। ওই টানেলের প্রায় ২১ মিটার স্ল্যাব অপসারণ করা হয়েছে এবং এখনও ১৯ মিটার পথ পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।
উত্তরকাশী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক রুহেলা এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে আটকে পড়া শ্রমিকদের মঙ্গলবার সুড়ঙ্গ থেকে বাইরে বের করে আনা হতে পারে। যদিও তা এখনও সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর তিনি বলেন, “যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়, তবে আটকে পড়া শ্রমিকদের বুধবারের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে।” কিন্তু সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ড্রিলিং মেশিনের জন্য তৈরি করা প্ল্যাটফর্মটি ভেঙে ফেলতে দেখা গিয়েছে। অন্য একটি আপডেটে বলা হয়েছে, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে একটি নতুন ড্রিলিং মেশিন বসানোর কাজ চলছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার দীপাবলির দিন উত্তরকাশীতে ঘটে এই ভয়ানক বিপর্যয়। কেন্দ্রের ‘চার ধাম অল ওয়েদার হাইওয়ে’ প্রকল্পের অঙ্গ হিসাবে সিলাকায়ারা থেকে পোলগাঁও পর্যন্ত যে সাড়ে ৪ কিমি দীর্ঘ টানেল তৈরি হচ্ছে তারই একটি অংশ রবিবার ধসে পড়ে। ফলে আটকে পড়েন ওই সুড়ঙ্গে কর্মরত ৪০ জন শ্রমিক। ওই টানেল তৈরি হলে উত্তরকাশী থেকে যমুনোত্রীর দূরত্ব ২৬ কিমি কমে যাবে।
আরও পড়ুন: উত্তরকাশীর টানেলে এখনও আটকে ৪০ শ্রমিক, উদ্ধার করতে ৩ ফুট ব্যাসের পাইপ এসে পৌঁছোল