দেহরাদুন: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের চাকাওয়ালা স্ট্রেচারে শুইয়ে কী ভাবে পাইপলাইনের মধ্য দিয়ে বাইরে নিয়ে আসা হবে তা হাতেকলমে করে দেখালেন এনডিআরএফ-এর কর্মীরা। পাইপলাইন আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গেলেই চাকাওয়ালা স্ট্রেচার পাঠানো হবে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, একজন এনডিআরএফ কর্মী পাইপলাইনের মধ্যে দিয়ে যতদূর সম্ভব চলে যান এবং চাকাওয়ালা স্ট্রেচারে তিনি শুয়ে পড়েন। তার পর তাঁকে বের করে আনা হয়। বাইরে বেরিয়ে আসার পর তিনি জানান, “পাইপের মধ্যে যথেষ্ট জায়গা আছে। এক্সারসাইজের সময় তাঁর শ্বাস নিতে কোনো কষ্ট হয়নি।”
কিন্তু উদ্ধারকাজে আবার ঘটেছে ব্যাঘাত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অগার মেশিন (তুরপুনের মতো ড্রিলিং মেশিন) শুক্রবার সন্ধ্যায় কোনো ধাতব বাধায় ধাক্কা খেয়ে থেমে যায়। পাহাড়ের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে মাটি কেটে কেটে পাইপলাইন যাওয়ার জায়গা করে দিচ্ছে এই অগার মেশিন। কিন্তু শক্ত বাধায় ধাক্কা খেলেই থেমে যাচ্ছে কাজ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই বিপত্তির পর আবার থমকে গিয়েছে উদ্ধারকাজ।
উদ্ধারকাজে তদারকি করার জন্য রাজ্য সরকার যে আধিকারিককে নিযুক্ত করেছেন সেই সিনিয়ার আইএএস অফিসার নীরজ খয়েরওয়াল কিন্তু বলেছিলেন, গ্রাউন্ড পেনিট্রেশন রেডার (জিপিআর) রিপোর্ট বলছে, ধ্বংসস্তূপের পরবর্তী ৪.৫ মিটারে কোনো ধাতব বাধা নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিপিআর রিপোর্ট সবসময়ে যে অভ্রান্ত হয়, তা নয়। যে পথে মাটি খোঁড়া হচ্ছে সেই পথে ছোটো কিছু বস্তু থাকলে তা জিপিআর-এ ধরা পড়তে নাও পারে।
আরও পড়ুন
উদ্ধার অভিযানে ফের বাধা, উত্তরকাশীতে সাময়িক স্থগিত খননকাজ