Home খবর দেশ ৭৫ মিনিটের ভাষণ! আদানি-প্রসঙ্গ এড়িয়ে কংগ্রেসকেই বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

৭৫ মিনিটের ভাষণ! আদানি-প্রসঙ্গ এড়িয়ে কংগ্রেসকেই বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

0
প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রতীকী ছবি

নয়াদিল্লি: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠলেও সে ব্যাপারে কোনো উচ্চবাচ্যই করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার লোকসভায় বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদজ্ঞাপন ভাষণ দিতে প্রধানমন্ত্রী যখন উঠলেন, তখনই বিরোধী বেঞ্চ থেকে আওয়াজ উঠতে শুরু করে, ‘আদানি! আদানি!’ তবে নিজের বক্তব্যে সে সবের তোয়াক্কা না করেই আগাগোড়া চাঁচাছোলা ভাষায় কংগ্রেসকেই বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী।

২০০৪ থেকে ২০১৪…

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিন টানা ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট সেই স্বরেই ভাষণ দিয়ে গেলেন লোকসভায়। কিন্তু ‘আদানি’ শব্দটি এক বারের জন্যও উচ্চারণ করলেন না। উল্টে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জমানার কথা তুলে এনে মোদী বলেন, “২০০৪ থেকে ২০১৪, এই ১০ বছরে দেশের অর্থনীতির হাল ছিল শোচনীয়। সেই সময় দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার দুই অঙ্কে পৌঁছে গিয়েছিল। ওই সময়ে দেশে সব থেকে বড়ো দুর্নীতি হয়েছে।” সেই ১০ বছরের দুর্নীতি এখন বিরোধীদের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির স্ক্যানারের আওতায় এনেছে বলে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভোটাররা যা করতে পারেনি তা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সমস্ত বিরোধী দলকে এক ছাতার তলায় এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা”।

এ ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় ঘুরেফিরে উঠে এল কংগ্রেস জমানায় ‘দুর্নীতি’র কথা। বলেন, “আজ সত্যিই দুর্নীতি থেকে মুক্তি পাচ্ছে দেশ। দেশে আজ দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গোটা বিশ্ব আজ ভারতকে ভরসা করে। আর্থিক বৃদ্ধিতে গোটা বিশ্বে পঞ্চম স্থানে ভারত। দেশের অর্থনীতিতে আজ স্থিতাবস্থা, স্থিতিশীল সরকার”।

আজকের ভারত

বিরোধীরা যখন মোদী-আদানি ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে সরব, তখন উন্নয়নের অস্ত্রে সেই বিরোধীদেরই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জি ২০ সম্মেলনে ভারতের সভাপতিত্ব গর্বের বিষয়। দেড়শোর বেশি দেশকে করোনার সঙ্কটকালে ওষুধ-ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য ভারতের। এর পরেও কিছু মানুষ এই সব সাফল্য দেখতে পান না। ৯ বছরে ৯০ হাজার স্টার্ট আপ হয়েছে দেশে। স্টার্ট-আপে ভারত এখন তৃতীয় স্থানে। মোবাইল ফোন তৈরিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে দেশ। শিক্ষা থেকে খেলাধূলা, ক্রমশ এগিয়ে চলেছে ভারত। অলিম্পিক থেকে ক্রিকেট, কৃতিত্বের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে দেশের মেয়েরা। দেশের সর্বত্র আশার আলো, কিন্তু কিছু লোক এখনও হতাশায় ডুবে আছেন। যাঁর যেমন ভাবনা, তেমনটাই দেখেন তিনি। গণতন্ত্রে সমালোচনা দরকার। কিন্তু গত ৯ বছর ধরে শুধুই অভিযোগ আর অভিযোগ বিরোধীদের।”

ঘুরেফিরে নিশানায় কংগ্রেস

এ ছাড়াও ইউপিএ জমানায় উপত্যকা ও উত্তরপূর্ব-সহ দেশের অন্যান্য প্রান্তের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে কংগ্রেসকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “ইউপিএ-র ১০ বছরের শাসনকালে, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গোটা দেশ সন্ত্রাসবাদের কবলে পড়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে উত্তর-পূর্ব পর্যন্ত সমগ্র অঞ্চলে সহিংসতা ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি। সেই ১০ বছরে ভারত বিশ্বমঞ্চে এতটাই দুর্বল ছিল, কেউ ভারতের কথা শুনতেই চাইত না”।

যদিও চলমান আদানিকাণ্ড নিয়ে রা কাটলেন না তিনি। এ ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমি সন্তুষ্ট নই। তদন্ত নিয়ে কোনো কথা নেই। যদি উনি (গৌতম আদানি) বন্ধু না হয়ে থাকেন, তা হলে তা তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) বলা উচিত। এটা পরিষ্কার যে, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে (গৌতম আদানি) সুরক্ষা দিচ্ছেন”।

আরও পড়ুন: বিধানসভায় তুমুল বিক্ষোভ বিজেপি-র, পুরো বক্তব্যই পেশ করলেন রাজ্যপাল

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version