নয়াদিল্লি: ডাক্তারিতে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট। এই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগে তোলপাড় গোটা দেশ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে পরীক্ষক সংস্থা এনটিএ-কে নোটিশ জারি করায় নিট ‘কেলেঙ্কারি’ নয়া মোড় নিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অতি-প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগের মধ্যেই উঠে এসেছে এ বারের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে মারাত্মক সব অভিযোগ। ফলাফল বাতিল করার আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার কেন্দ্র এবং জাতীয় পরীক্ষক সংস্থা এনটিএ-কে নোটিশ জারি করল এ দিন।
এ দিনের শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্টতই জানিয়ে দেয়, “এটা এত সহজ নয়… যেহেতু পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, এটা পবিত্র”। একইসঙ্গে আদালত এনটিএ-এর উদ্দেশে বলে, “(পরীক্ষার) পবিত্রতা প্রভাবিত হয়েছে… তাই আমাদের উত্তর দরকার।”
সর্বোচ্চ আদালত অবশ্য বলেছে, ভর্তির জন্য কাউন্সেলিং চলবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ বলেছেন, “আমরা কাউন্সেলিং বন্ধ করছি না”। এই বিষয়টিও প্রধান বিচারপতি ড ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে দায়ের করা আবেদনের সঙ্গে শুনানি হবে। আগামী ৪ জুলাই সেই শুনানি হওয়ার কথা।
বলে রাখা ভালো, আদালত এ দিন নিট সম্পর্কিত নতুন একটি আবেদনের শুনানি করে। যে আবেদনে, পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরে অসঙ্গতির অভিযোগ করা হয়েছে। সেই কারণ দেখিয়ে পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে এই পিটিশনে। পাশাপাশি নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে, এনটিএ-র গ্রেস মার্ক দেওয়া এবং কিছু ছাত্রকে ‘পিছন থেকে প্রবেশাধিকার’ দেওয়ার কৌশল ঠিক নয়। আবেদনকারীরা মূলত পরীক্ষার সময় বিলম্বের কারণে কিছু পরীক্ষার্থীদের দেওয়া গ্রেস নম্বরকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং ভর্তির জন্য আবারও পরীক্ষা নেওয়া এবং এবারের ফলাফল প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। পিটিশনে বলা হয়েছে, গ্রেস মার্ক দেওয়ার মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা ছিল। যে কারণে অনেক পরীক্ষার্থী মোট নম্বর ৭২০-র মধ্যে ৭১৮ এবং ৭১৯ নম্বরও পেয়েছে। যা পরিসংখ্যানগত ভাবে আদৌ সম্ভব নয়।
এ ছাড়াও প্রশ্ন উঠেছে, একটি কেন্দ্রের ৬৭ জন পরীক্ষার্থী কী ভাবে পূর্ণ ৭২০ নম্বর পেলেন? পিটিশনে, তথাকথিত প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভর্তির জন্য পরিচালিত কাউন্সেলিং বন্ধ রাখার দাবি উত্থাপিত হয়েছে। এমনকী এ বিষয়ে বিশদ তদন্তের জন্য সিট গঠনের দাবিও উঠেছে।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় কেলেঙ্কারির অভিযোগ! সিবিআই তদন্ত, পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে এনটিএ-কে চিঠি