নয়াদিল্লি: গরমে তীব্র জলসংকট। দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিকে জলসঞ্চয়ের বিষয়টিও। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, কর্নাটক, কেরল এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে জলাধারের ক্ষমতা। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের (সিডব্লিউসি) সাম্প্রতিক বুলেটিন অনুসারে, জলধারগুলির মোট জলধারণ ক্ষমতার মাত্র ১৭ শতাংশ জল সঞ্চয় হয়েছে। যা সর্বকালীন গড় আয়তনের অনেক কম।
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে জলাধারে জল সঞ্চয়ের মাত্রা সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিডব্লিউসি। সম্প্রতি প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, কমিশনের পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে দক্ষিণ ভারতে ৪২টি জলাধারের মোট জলধারণ ক্ষমতা বা লাইভ স্টোরেজ ক্ষমতা ৫৩.৩৩৪ বিসিএম (বিলিয়ন কিউবিক মিটার)।
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে, এই জলাধারগুলিতে বর্তমানে মোট লাইভ স্টোরেজ দাঁড়িয়েছে ৮.৮৬৫ বিসিএম, যা ওই জলাধারগুলির মোট ক্ষমতার মাত্র ১৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানটি গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৯ শতাংশ এবং সংশ্লিষ্ট সময়ের জন্য দশ বছরের গড় ২৩ শতাংশের তুলনায় যথেষ্ট কম।
এ ভাবে দক্ষিণ ভারতে জল সঞ্চয়ের মাত্রা কমে যাওয়া এই রাজ্যগুলিতে জলের ঘাটতি এবং সেচ, পানীয় জল সরবরাহ এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, অসম, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলি নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চলে গত বছর এবং দশ বছরের গড়ের তুলনায় জল সঞ্চয়ের স্তরে ইতিবাচক উন্নতি দেখানো হয়েছে সিডব্লিউসি-র রিপোর্টে। বুলেটিনে হাইলাইট করা হয়েছে যে এই অঞ্চলে, ২৩টি জলাধারের উপর পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে। যেগুলির মোট জলধারণ ক্ষমতা ২০.৪৩০ বিসিএম। সেগুলিতে বর্তমানে জলসঞ্চয়ের আয়তন ৭.৮৮৯ বিসিএম। অর্থাৎ, বর্তমানে সঞ্চয়ের হার মোট জলধারণ ক্ষমতার ৩৯ শতাংশ।
এটি গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ শতাংশ) এবং দশ বছরের গড়ের (৩৪ শতাংশ) থেকে কিছুটা উন্নতিও ঘটেছে। যদিও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এই পরিস্থিতি ততটা আশাব্যঞ্জক নয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের সমর্থনে লারা, কী বললেন বলি অভিনেত্রী?