উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: কুলতলির নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবিতে মঙ্গলবার এপিডিআর দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বারুইপুর পুলিশ সুপারের অফিসে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। মিছিলটি বারুইপুর স্টেশন থেকে শুরু হয় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরূপ মুখোপাধ্যায় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
গত রবিবার এপিডিআরের একটি প্রতিনিধি দল মহিষমারির ঘটনার তথ্যানুসন্ধান করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনার পিছনে একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত রয়েছে। তারা উল্লেখ করে, গ্রেফতার হওয়া যুবক একা নয়, বরং আরও কয়েকজনের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় জনগণের তথ্য অনুযায়ী, ওই যুবককে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করা হয়েছে, যা তাকে অপরাধমূলক কাজে প্ররোচিত করার সম্ভাবনাকে নির্দেশ করে।
এছাড়া, স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতার নাম উঠে এসেছে, যিনি প্রথম পুলিশকে ওই যুবকের নাম জানিয়েছেন। এপিডিআর তাদের কথা বলার চেষ্টা করলেও ওই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।
মঙ্গলবার এপিডিআর বারুইপুর জেলা পুলিশকে স্মারকলিপি দেওয়ার সময়, জেলা কমিটির সহ সম্পাদক মিঠুন মণ্ডল বলেন, “পুলিশের বড় বড় অফিসাররা কুলতলিতে গিয়ে বারবার টেলিভিশন ক্যামেরায় বলছেন, প্রতিবাদীদের কাউকে ছাড়া হবে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। বলেছি, এটা প্ররোচনা সৃষ্টি। আমরা বলেছি, কোন প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা বা মামলা দেওয়া চলবে না। কারণ পুলিশের গাফিলতিতেই বাচ্চা মেয়েটি মারা গেছে। মানুষের ক্ষোভ তো হবেই। ফলে ভাঙচুর হয়ে থাকলে তার দায় পুলিশের, স্থানীয় মানুষের নয়। তাছাড়া, যে কোন প্রতিবাদী জনতার সঙ্গে আলাপ আলোচনায় না গিয়ে পুলিশ গায়ের জোর দেখাতে যায়। তাতেই পরিস্থিতি খারাপ হয়। পুলিশকে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দেওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।”
এপিডিআর এ ব্যাপারে আরও তথ্যানুসন্ধান চালাবে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপি প্রদানকালে এদিন এই স্মারকলিপি দিতে উপস্থিত ছিলেন এপিডিআরের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির পক্ষে সম্পাদক শাহানারা খাতুন ও সহ সম্পাদক মিঠুন মণ্ডল, কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে আলতাফ আহমেদ-সহ আরো অনেকে।