কলকাতা: শনিবার দিনভর চর্চায় রইল রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির ঘটনা। তবে ভোট শেষে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, প্রায় ৬১ হাজার বুথের মধ্যে সবমিলিয়ে ৬০টার মতো বুথে ঘটেছে অশান্তির ঘটনা।
সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ মিলিত ভাবে সন্ত্রাস করেছে বলে অভিযোগ তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজা। পাশাপাশি তাঁদের নিশানায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেই দাবি করলেন তাঁরা।
সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন, “দিনহাটা থেকে মালদহ এবং রানিনগর থেকে রেজিনগর যাঁরা খুন হলেন তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় জানুন। কারা গুলি চালাল? কারা বোমা মারল? ব্যালট বাক্স কারা পুকুরে ফেলল? এগুলি জানলে দেখতে পাবেন পরিকল্পনা করে বিজেপি এই কাজের নেপথ্যে রয়েছে। কারণ সেই তথ্য ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে। প্রশাসন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে”।
তাঁর জোরালো দাবি, “বিরোধীরা একসঙ্গে হয়েই এই হামলা করেছে। আবার তারপর নিজেরাই অভিযোগ করছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। সেখানে রাজ্যপাল এদের অভিভাবক হয়ে ইন্ধন জুগিয়েছেন”।
মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “কুৎসা, অপপ্রচার করেছে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস আইএসএফ। তারা চেয়েছিল সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে না হয়। কিন্তু, প্রায় ৬১ হাজার বুথের মধ্যে বড় অশান্তি ৮-৯টা বুথে এবং ছোটখাটো সবমিলিয়ে ৬০টা বুথে অশান্তির খবর সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল তা প্রশ্ন উঠেছে। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, কোন দলে ভোট দিতে হবে তা সেই বিষয়েও প্রভাব খাটিয়েছে বিএসএফ”।
পাশাপাশি, কুণাল ঘোষ বলেন, “বাংলায় ভোট হচ্ছে না এই দাবি করে আতঙ্কের মার্কেটিং করছে বিরোধীরা। ৬১ হাজারের বেশি বুথ। তার মধ্যে নয়টি বড় ঘটনা আর ৬০টি বুথে গন্ডগোলের ঘটনা। যদি তৃণমূলের কেউ মারা যায় তখন গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের তত্ত্ব ওঠে। বিরোধীদের মৃত্যু হলে সেখানে তৃণমূলকে অভিযোগ করা হচ্ছে। বিজেপি, আইএসএফ, কংগ্রেস, বামেরা কিছু পরিকল্পনা করে উসকানি দিয়েছে। এই গোটা ঘটনার পেছনে রাজ্যপালও রয়েছেন।”
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে রাস্তায় রাজ্যপাল! কী ‘আশা’ করেছিলেন, আর কী পেলেন সিভি আনন্দ বোস