বৃষ্টির জন্য এতদিন চাতকপাখির মতো অপেক্ষায় ছিল রাজ্যবাসী। অবশেষে মিলতে চলেছে স্বস্তি। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৬ জুন (রবিবার) থেকে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই বৃষ্টির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। ইতিমধ্যেই মৌসুমি বায়ু দক্ষিণবঙ্গের একাংশে প্রবেশ করেছে। এবার তার সক্রিয়তার জেরে রাজ্যের দুই বঙ্গেই শুরু হবে বর্ষার দাপট।
উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে ১৬ থেকে ১৮ জুনের মধ্যে একাধিক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ধস নামার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদেরা। নদীর জলস্তর বাড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে।
দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টি ও তাপমাত্রা পতনের সম্ভাবনা
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ১৬ তারিখ থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বৃষ্টির জেরে কয়েক দিনের মধ্যে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ৩–৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে আসবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর।
চাষিদের জন্য বার্তা
আবহাওয়াবিদেরা চাষিদের উদ্দেশে জানিয়েছেন, এখনই নতুন বীজ বপন বা রোপণ না করাই ভালো। ভারী বৃষ্টির জেরে মাটি নরম হয়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে, ফলে চারা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। বরং বৃষ্টি কমার পর চাষের কাজ শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিবহণ ও প্রশাসনিক সতর্কতা
অতি ভারী বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি ও নদী সংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য বিপদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। প্রয়োজন পড়লে স্থানীয় স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। দীর্ঘ খরার পর বর্ষা রাজ্যে স্বস্তি আনলেও, তার সঙ্গে রয়েছে কিছু বিপদের সম্ভাবনাও। তাই সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বনের বার্তা দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদেরা।