Home রাজ্য হুগলি চন্দননগর-বাঁশবেড়িয়ায় চালু হবে পাইপলাইনের গ্যাস, ফেব্রুয়ারি ২০২৬ থেকেই শুরু পরিষেবা

চন্দননগর-বাঁশবেড়িয়ায় চালু হবে পাইপলাইনের গ্যাস, ফেব্রুয়ারি ২০২৬ থেকেই শুরু পরিষেবা

PNG supply

হুগলির চন্দননগর ও বাঁশবেড়িয়া সহ একাধিক এলাকায় আগামী ২০২৬ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হবে পাইপড ন্যাচারাল গ্যাস (PNG) পরিষেবা। বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (BGCL)-এর তরফে জানানো হয়েছে, রাজরামবাই (মোগরা) থেকে শ্বেতপুর মোড় পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ হলেই সরবরাহ শুরু হবে।

এরই পাশাপাশি, হুগলির মোগরার কাছে ঝাপায় ইতিমধ্যেই একটি সিএনজি মাদার স্টেশন তৈরি করেছে BGCL। চলতি বছরের অক্টোবরের শেষেই চালু হবে সেই স্টেশন। BGCL-র সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ঝাপা মাদার স্টেশন থেকে প্রতিদিন ১৫ টন সিএনজি সরবরাহ করা হবে। এর ফলে মোট দৈনিক সরবরাহ বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ টনে, যা এখন ৩৫ টন।”

BGCL হলো গেইল ও রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন গ্রেটার কলকাতা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগ। বর্তমানে সংস্থাটি কলকাতা পুরসভার এলাকা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অংশে সিএনজি ও পিএনজি সরবরাহের একমাত্র লাইসেন্সধারী।

কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, মিডিয়াম ডেনসিটি পলিথিলিন (MDPE) পাইপ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে পিএনজি। ইতিমধ্যেই চন্দননগরে ৫৮ কিলোমিটার এবং বাঁশবেড়িয়ায় ৩২ কিলোমিটার নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে চন্দননগর, বাঁশবেড়িয়া, কোদালিয়া ও দেবানন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েতে শুরু হবে এই পরিষেবা।

BGCL-র পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ১,২৫০টি গ্যাস মিটার বসানো হয়েছে। সংস্থার লক্ষ্য, শুধুমাত্র হুগলি জেলায় ৭৪ হাজার গ্রাহক তৈরি করা। মোট কম্যান্ড এরিয়ায় (গ্রেটার কলকাতা) প্রায় ১২.১৮ লক্ষ ভোক্তাকে পিএনজি পরিষেবায় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version