মুখ অ্যাসিডে ঝলসানো। চেনার উপায় নেই। শরীর জুড়ে কাটাছেঁড়ার দাগ। ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে ছেঁড়া জামাকাপড়। একই সঙ্গে পাশে পড়ে রয়েছে ব্যবহার করা কয়েকটি কন্ডোম। এই নৃশংস ঘটনায় হতবাক মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদার গ্রামের বাসিন্দারা।
প্রাথমিক ভাবে অনুমান দলবদ্ধ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। মৃতদেহের পাশে লঙ্কার গুঁড়োর প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে। তাতে অনুমান শরীরে কাটা জায়গায় লঙ্কার গুঁড়োও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকালে ধানক্ষেতের পাশে এই ভাবে বীভৎস অবস্থায় মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।
এলাকাবাসীদের অনুমান মহিলার বয়স ৩০-এর মধ্যে। টেনে হিঁচড়ে তাঁকে রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে নামানো। তাঁরা মনে করছেন, দলবদ্ধ ধর্ষণ করার মহিলাকে খুন করা হয়েছে। কেউ যাতে পরিচয় জানতে না পারেন তার জন্য মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত সদস্য নদুল ইসলাম বলেন, ‘গণধর্ষণ করার পর খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে ২৫ থেকে ৩০ গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু কেউ তাঁকে চিনতে পারেননি।’ বাসিন্দাদের দাবি , মহিলার গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুড়ো দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অদূরেই বিহার এবং বাংলার সীমান্ত। ওই মহিলা স্থানীয় কেউ না কি, ভিন্রাজ্যের বাসিন্দা, তা জানা যায়নি।