শিলিগুড়ি: “কেউ যদি মনে করে, বন্ধ করে ক্ষমতা দেখাবে, তা হলে আমি পরিস্কার বলে যাচ্ছি, কোনো বন্ধ হবে না”। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড় বন্ধের আহ্বায়কদের উদ্দেশে এমনই স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মঙ্গলবার গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে আমরণ অনশন শুরু হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে গোর্খাল্যান্ডপন্থীরা। বিধানসভায় পাশ হওয়া ‘বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব’-এর বিরোধিতায় বন্ধ ডেকেছে জিটিএ বিরোধী পক্ষ। তাতে রয়েছেন বিনয় তামাং, হামরো পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অজয় এডওয়ার্ড-সহ জিটিএ-র ৭ সদস্য। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ওই দিনই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা।
এ দিন শিলিগুড়ির মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, রাজ্য সরকার বন্ধের সমর্থন করে না। তাঁর কথায়, “কেউ-কেউ মনে করে, বছরে একবার বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনের জন্য। আমরা কোনো বন্ধ করতে দিই না। বাংলা থেকে বন্ধ উঠে গিয়েছে। মনে রাখবেন, বাংলাকে খোলা রাখতে হবে। তবেই কর্মসংস্থান হবে, উন্নয়ন হবে।” এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “কেউ যদি পরীক্ষা দিতে না পারে সেই দায়িত্ব কে নেবেন?”
উন্নয়নের জন্য নয়, বন্ধের নামে পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করে মমতার হুঁশিয়ারি, ‘‘২৩ তারিখ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিচ্ছি, কেউ যদি বঙ্গভঙ্গ নিয়ে আন্দোলন করতে যায়, সে আন্দোলন করতেই পারেন, তবে আইন হাতে তুলে নিলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে শাসকদলের তরফে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কে হয়। সেখানেই গোর্খাল্যান্ড রাজ্য নিয়ে গণভোটের দাবি করেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। সোমবারই বিধানসভায় পাশ হওয়া বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধিতা করে পাহাড়ে বন্ধ ডেকেছে জিটিএ বিরোধী পক্ষ।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিনই এই বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে কালিম্পং, দার্জিলিংয়ের ৮ হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্কুল বাস-সহ জরুরি পরিষেবাকে। তবুও পুরোপুরি চিন্তামুক্ত হতে পারছে না পরীক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক শুরুর দিনই পাহাড়ে বন্ধের ডাক, চিন্তায় পরীক্ষার্থীরা