নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপে গড়িয়া সহমর্মী সোসাইটি পরিচালিত ‘স্বামী বিবেকানন্দ সেবা নিকেতন’-এ বিনা ব্যয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হল রবিবার। কাকদ্বীপের ভুবননগর গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ১১০ জন আত্মজন প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে ওই শিবিরে উপস্থিত হয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিলেন। শিবিরে ইসিজি ও ব্লাডসুগার পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল এবং সেখানে ওষুধও বিতরণ করা হয়।
স্বাস্থ্যশিবিরে চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। এঁরা হলেন অর্থোপেডিক স্পেশালিস্ট ড. নঈম ওস্তাগর, শিশু বিশেষজ্ঞ ড. সৌম্যব্রত আচার্য, কার্ডিওলজিস্ট ড. আবদুল্লা এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ ড. গৌতম দাস। শিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিকাশ দাস মহোদয়।
গত ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের পুণ্য প্রভাতে এই আশ্রমের দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়। এই সমাজের যে সকল মাকে দেখার কেউ নেই, যাঁদের কোনো আয় নেই, এমন ৫ জন ‘মা’-কে নিয়ে লক্ষ্মীপুজোর পর আশ্রম শুরু হবে বলে গড়িয়া সহমর্মী সূত্রে জানানো হয়েছে। এর পর এখানে সকলের জন্য বৃদ্ধাবাস, অনাথ আশ্রম, স্কুল, চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
‘সহমর্মী’র সেবামূলক কাজ
আর্তজনকে সেবার উদ্দেশ্যে ঠিক ১৩ বছর আগে গড়ে তোলা হয় গড়িয়া সহমর্মী সোসাইটি। শোষিত, নিপীড়িত, দুর্দশাগ্রস্ত, বিপন্ন, দুস্থ মানুষের দিকে নানা ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ‘সহমর্মী’। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তারা সেবামূলক কাজ চালিয়ে যায় – এক দিকে সুন্দরবন, অন্য দিকে সুদূর উত্তরবঙ্গ। আর গড়িয়া, বালি, এ সব অঞ্চল তো আছেই।
প্রতি বছর নিয়ম করে বিনা ব্যয়ে চক্ষু অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত প্রান্তে বছরের বিভিন্ন সময়ে নিয়মিত ভাবে স্বাস্থ্যশিবির চালায় ‘সহমর্মী’। ‘সহমর্মী’ দলগত ভাবে এবং তার সদস্যরা ব্যক্তিগত ভাবে বিপন্ন মানুষদের জন্য রক্তদানেরও ব্যবস্থা করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ নিয়ে ছুটে যায় ‘সহমর্মী’।
‘সহমর্মী’ ২০২১-এর ১৫ আগস্ট থেকে চালু করেছে ‘মা অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার’ প্রকল্প। এই প্রকল্প অনুসারে প্রতি মাসের প্রথম রবিবার দুস্থ মায়েদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আগাছার জঙ্গল, অবহেলায় জীর্ণ হচ্ছে সোদপুরে গান্ধীজির ‘দ্বিতীয় বাড়ি’