কলকাতা: নিয়মিত বিভিন্ন কারণে খবরের শিরোনামে থাকেন, তবে শুক্রবার কুণাল ঘোষকে নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডলে তাঁর একটি পোস্ট এবং পরিচয় পরিবর্তনের পর পরই তাঁকে নিয়ে তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক্স-এ বিস্ফোরক একটি পোস্ট করেন কুণাল। শুক্রবার সকালে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে তাঁর পরিচয় পরিবর্তনে কিছুটা অভিমানেরও ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
বৃহস্পতিবার রাতে বিস্ফোরক কুণাল
এক্স পোস্টে বৃহস্পতিবার কুণাল লেখেন, “নেতা অযোগ্য, গ্রুপবাজ, স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।” রাত ৯টা ৯ মিনিটে এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয়ে যায় জোর জল্পনা। সামনে লোকসভা ভোট। টিকিট বণ্টন নিয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে দলের অন্দরে। এমন একটা সময় এ ধরনের মন্তব্য কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে, সেটা অনেকের কাছেই অজানা নয়। এই পোস্টে কুণাল অবশ্য কারও নাম করেননি।
শুক্রবার সকালে তবে কি ‘অভিমান’?
শুক্রবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে নিজের ‘বায়ো’তেও বদল এনেছেন কুণাল। স্পষ্টতই দেখা যায়, এক্স হ্যান্ডল থেকে নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ই মুছে দিয়েছেন কুণাল। এত দিন যেখানে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলে তাঁর যে পরিচয় লেখা থাকত, সেটা উধাও। পরিবর্তনের পরে এখন তিনি শুধুই সাংবাদিক, সমাজকর্মী!
পর পর এই দু’টি ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে নানা গুঞ্জন এবং আলোচনা দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠছে, কেন এমন করলেন কুণাল? অনেকের মতে, বৃহস্পতিবার রাতের পোস্টে কারও নাম না করলেও যাঁদের যা বোঝার, সেটা তাঁরা বুঝে গিয়েছেন। হয়তো বা সেই পোস্ট ঘিরে জলঘোলাও হতে পারে। তাতে অভিমান হওয়াটাও অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বরাবরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন বলে পরিচিত কুণাল। সেখানে এমন ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
একইসঙ্গে প্রশ্ন, তবে কি পদ ছাড়তে চাইছেন কুণাল ঘোষ? যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এ বিষয়ে তেমন কোনো মন্তব্য মেলেনি। বিশেষ করে, বেলা ১২টা পর্যন্ত কুণালের মোবাইল ফোনও সুইচঅফ বলে জানা গিয়েছে!
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই ১০০ প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে চলেছে বিজেপি! তালিকায় অনেক হেভিওয়েট