কলকাতা: নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এক দফাতেই হবে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। বুধবার পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে সেটাই স্পষ্ট করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
৮ জুলাই রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। হাতে মেরেকেটে সময় তিনি দিন। গত সোমবার, পঞ্চায়েতে ভোটের দফা বৃদ্ধির দাবিতে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। দফা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
এর আগে এই একই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আইএসএফ নেতা নওশাদের যুক্তি ছিল, হয় পঞ্চায়েত ভোটে আদালতের নির্দেশ মতো পর্যাপ্ত বাহিনী আনা হোক অথবা পঞ্চায়েত ভোটের দফা বৃদ্ধি করা হোক। একই দাবি তুলেছিলেন অধীর। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, “একদফায় নির্বাচন অবাধ শান্তিপূর্ণ হতে পারে না। তাই দফা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে কংগ্রেস সোমবার আদালতে যাচ্ছি।”
সোমবার জানা যায়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মামলাটি শোনা হবে বলেও জানিয়েছে। ভোটের আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আদৌ সম্ভব কি না প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন কংগ্রেস দলনেতা।
অধীরের পাশাপাশি এই একই কথা বলে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করে। এ দিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যথেষ্ট বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে, তাই আর দফা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।
মঙ্গলবারই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ভোটকেন্দ্রে সমান অনুপাতে অর্থাৎ ৫০:৫০ হারে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্যে পুরো ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। এর আগে প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পরে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল রাজ্যে। তৃতীয় দফায় ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে রাজ্যে।