Home খেলাধুলো ক্রিকেট বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩: ওয়ার্নার ও মার্শের সেঞ্চুরির সুবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ জয়...

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩: ওয়ার্নার ও মার্শের সেঞ্চুরির সুবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ জয় পেল অস্ট্রেলিয়া   

0
ছবি আইসিসি ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।

অস্ট্রেলিয়া: ৩৬৭-৯ (ডেভিড ওয়ার্নার ১৬৩, মিচেল মার্শ ১২১, শাহিন শাহ আফ্রিদি ৫-৫৪, হরিস রাউফ ৩-৮৩)

পাকিস্তান: ৩০৫ (৪৫.৩ ওভার) (ইমাম-উল-হক ৭০, আবদুল্লা শফিক ৬৪, অ্যাডাম জাম্পা ৪-৫৩, মার্কাস স্টয়নিস ২-৪০)  

বেঙ্গালুরু: পাকিস্তান পারল না। প্রথম উইকেটের জুটিতে ২৫৯ করা অস্ট্রেলিয়াকে শাহিন শাহ আফ্রিদির ৫ উইকেটের সুবাদে পাকিস্তান ৩৬৭ রানে আটকে দিল। পরে নিজেরা ব্যাট করতে নেমে প্রথম উইকেটের জুটিতে ১৩৪ রান করার পরেও ৪.৩ ওভার বাকি থাকতেই তারা অল আউট হয়ে গেল ৩০৫ রানে। এ বারেও অস্ট্রেলীয় বোলার অ্যাডাম জাম্পার বোলিং-এর জাদু। অস্ট্রেলিয়া ৬২ রানে পাকিস্তানকে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় পেল।

এ বারের বিশ্বকাপে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম দুটি ম্যাচে তারা হেরে যায়। শেষ পর্যন্ত তিন নম্বর ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতে জয়ে ফেরে অস্ট্রেলিয়া। এর পর শুক্রবারের জয়। এই জয়ের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ আর অ্যাডাম জাম্পার। আগের ম্যাচগুলোতে ডেভিড ওয়ার্নারকে স্বমূর্তি ধরতে দেখা যায়নি। কিন্তু স্বমূর্তি ধারণ করলে তিনি কী করতে পারেন, তা দেখিয়ে দিলেন আজ। আর সঙ্গী পেলেন মিচেল মার্শকে। দু’জনেই সেঞ্চুরি করেন। তবে ওয়ার্নার শুধু সেঞ্চুরি করাই নয়, এই সেঞ্চুরি করে নানা ধরনের রেকর্ডও করলেন।

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচের মতোই বোলিং-এ জাদু দেখালেন অ্যাডাম জাম্পা। ৫৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করলেন। এ দিনের ম্যাচের পর দু’টি দলই ৪টি ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু নেট রানরেটের বিচারে অস্ট্রেলিয়ার ঢুকে গেল প্রথম চারে। আর পাকিস্তান নেমে এল পঞ্চম স্থানে।

বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটের জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান     

শুক্রবার এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠায় পাকিস্তান। সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম উইকেটে ওয়ার্নার আর মার্শ যে ভাবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ভিত শক্ত করে দিলেন তাতে তারা না জিতলে ব্যাপারটা খুব আশ্চর্যের হত। প্রথম উইকেটের জুটিতে উঠল ২৫৯ রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। প্রথম উইকেটের জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড শ্রীলঙ্কার উপুল তরঙ্গ এবং তিলকরত্নে দিলশানের। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তাঁরা এই রান করেছিলেন।

২৫৯ রানে আউট হন মার্শ। ১০৮ বলে ১২১ করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে উসামা মিরকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ক্রিকেটবোদ্ধারা ভেবেছিলেন অস্ট্রেলিয়া ৪০০ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু এর পরে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে মাত্র ১০৮ রান যোগ করে। আরও নিখুঁত ভাবে বলতে গেলে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ৬ উইকেট পড়ে ৪২ রানে।

২৫৯-এ মার্শ আউট হওয়ার পর পরের বলে কিছু রান না করেই সেই আফ্রিদির শিকার হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ক্যাচ ধরেন বাবর আজম। স্টিভ স্মিথের ফর্মটা ভালো যাচ্ছে না। তিনি করেন ৯ বলে ৭ রান। দলের ২৮৪ রানে তিনি উসামা মিরের বলে তাঁকেই ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মার্কাস স্টয়নিসকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ার্নার দলের রান নিয়ে যান ৩২৫-এ। ১২৪ বলে ১৬৩ রান করেন মারমুখী ওয়ার্নার। তাঁকে তুলে নেন হরিস রাউফ। এর পর কার্যত ধস অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। এর মূলে শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হরিস রাউফের বোলিং। আফ্রিদি ৫৪ রানে ৫ উইকেট এবং রাউফ ৮৩ রানে ৩ উইকেট দখল করেন। অস্ট্রেলিয়া ইনিংস শেষ করে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রানে।

শুরুটা ভালোই হয়েছিল পাকিস্তানের  

জয়ের জন্য ৩৬৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা করতে গিয়ে পাকিস্তান বেশ ভালো শুরু করে। আবদুল্লা শফিক এবং ইমাম-উল-হক প্রথম উইকেটের জুটিতে ১৩৪ রান যোগ করেন। তখন মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার জেতাটা খুব সহজ হবে না। স্টয়নিসের বলে ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দিয়ে ৬১ বলে ৬৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শফিক। এর পর ঘন ঘন ২টি উইকেট পড়ে যায় পাকিস্তানের। দলের ১৫৪ রানে আউট হন ইমাম (৭১ বলে ৭০ রান) এবং ১৭৫-এ আউট হন অধিনায়ক বাবর আজম। ইমামকেও তুলে নেন স্টয়নিস। আর জাম্পার প্রথম শিকার বাবর আজম।    

কিন্তু এর পর আবার আশা জাগায় মোহম্মদ রিওজয়ান এবং সাউদ সকিলের জুটি। কিন্তু দলের ২৩২ রানে সাউদ সকিল (৩১ বলে ৩০ রান) আউট হতেই পাকিস্তানের নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২৭ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ৩০৫ রানে। জাম্পা ৪ উইকেট দখল করেন ৫৩ রানে। বাকি উইকেটগুলো ভাগাভাগি করে নেন মার্কাস স্টয়নিস, প্যাট কামিন্স, জোশ হ্যাজলউড এবং মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়া ৬২ রানে জিতে যায়। ডেভিড ওয়ার্নার ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন।

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে ডেভিড ওয়ার্নার ছুঁলেন বিরাট কোহলিকে, পৌঁছে গেলেন রোহিত শর্মার খুব কাছে

বাংলাদেশ ম্যাচে চোট, রবিবারের ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন হার্দিক পাণ্ড্য

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version